ঘন, কালো, লম্বা এবং সুন্দর চুল সকলেই চায়। চুলের বৃদ্ধি এবং ঘনত্ব অনেক কারণের উপর নির্ভর করে। যার মধ্যে রয়েছে একজন ব্যক্তির জিনগত ইতিহাস, খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টির অভাব, মানসিক চাপ এবং খারাপ জীবনযাত্রার মতো কিছু কারণ। আপনি যদি চুল পড়া বন্ধ করতে চান বা চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তবে, এমন অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি করতে পারে।
প্রোটিন গ্রহণ বৃদ্ধি করুন
শরীর, ত্বক এবং চুলের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন চুল গজানোর জন্যও প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিনের অভাব চুল পড়ার কারণ হতে পারে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রোটিনের জন্য আপনি মটরশুটি, ডিম, মাছ, ড্রাই ফ্রুটস, চর্বিহীন মাংস এবং বীজের মতো জিনিস খেতে পারেন। একজন ব্যক্তির দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা নির্ভর করে সে কতটা শারীরিকভাবে সক্রিয় এবং তার পেশীর ওজন কত তার উপর।
আয়রন গ্রহণ বৃদ্ধি করুন
চুল সুস্থ রাখতেও আয়রন প্রয়োজন। খাদ্যতালিকায় আয়রনের কিছু উৎস, যেমন- মুসুর ডাল, কুমড়োর বীজ, পালং শাক, মটরশুঁটি, চর্বিহীন মাংসের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যারা মাংস খান না, তাদের তুলনায় ১.৮ গুণ বেশি আয়রনের চাহিদা থাকে। এর কারণ হল শরীর অ-প্রাণীজ প্রোটিন থেকে আয়রন শোষণ করে না।
স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন
ম্যাসাজ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। একটি ছোট জাপানি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষরা দিনে ৪ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজার দিয়ে ম্যাসাজ করেন, তাদের চুল ৬ মাস পরে ঘন হয়। আঙুলের ডগা দিয়ে মৃদু বৃত্তাকার গতিতে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। মাথার ত্বকের ম্যাসাজার ওষুধের দোকানে এবং অনলাইনে পাওয়া যায়।
বীজ
সমস্ত বীজ, বিশেষ করে কুমড়োর বীজ এবং এর তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কারণ এতে প্রোটিন এবং অনেক ধরণের খনিজ থাকে।