
আজ শুক্রবার। পরশুই ষষ্ঠী। তাই ইতিমধ্যেই পুজোর হ্যাংওভারে চলে গিয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে জমছে অগুনতি মানুষের ভিড়। আর যাঁরা এখনও বেরতে পারেননি, তাঁরা ঘোরার প্ল্যানটা সেরে ফেলছেন। সেই সঙ্গে ঠিক করে রাখছেন, কোন জুতো এবং পোশাক পরে ঠাকুরদর্শনে বেরবেন।
মুশকিল হল, পুজোর সময় নতুন জুতো পরে হাঁটার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই পায়ে ফোসকা পরে যায়। যার ফলে তীব্র জ্বালা, যন্ত্রণা হয়ে যায় শুরু। কিন্তু কী করলে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে, সেটা জানা থাকে না। আর আজ সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমরা কথা বলেছিলাম বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ উৎসব দাসের সঙ্গে। তিনিই আমাদের এই সমস্যার সমাধান জানালেন।
কেন পরে ফোসকা?
ডাঃ দাস বলেন, 'ফোসকা পরার প্রধান কারণ হল নতুন জুতো। আসলে অনেক ক্ষেত্রেই নতুন জুতোর কিছু জায়গা খুব শক্ত হয়। এ বার সেই জায়গাটি পায়ের নরম ত্বকের সঙ্গে ঘঁষা খেলেই ফোসকা পড়ে যায়।'
আর ফোসকাকে অবহেলা করবেন না। নচেৎ ইনফেকশন হতে পারে। যার ফলে বাড়তে পারে বিপদ।
ফোসকা পরলে করবেন কী?
এই সমস্যার সহজ সমাধানের পথ জানালেন ডাঃ দাস। সেক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন তিনি-
১. সবার প্রথমে জায়গাটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তাতে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমবে।
২. এরপর প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের কথামতো মেডিকেটেড অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে দরকার পড়তে পারে অ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্টের। তাতেই সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভব।
৩. ফোসকা নিয়ে একান্তই বাইরে যেতে হলে ব্যান্ডেড লাগান। আর চেষ্টা করুন সেই জুতোটা এখনই আবার না পরার। তাতেই বিপদ এড়াতে পারবেন।
সমস্যা প্রতিরোধে
ডাঃ দাস বলেন, 'চেষ্টা করতে হবে নরম জুতো পরার। আর নরম জুতো কিনলেও পুজোর আগে অল্প অল্প করে সেই জুতো পরে হেঁটে নিন। তাহলে পুজোর সময় ফোসকা পরার আশঙ্কা কমে যাবে।'
ডায়াবেটিকরা বেশি সাবধান
যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই পায়ের বেশি যত্ন নিন। নির্দিষ্ট ডায়াবেটিক শ্যু পরুন। নইলে অযথা পায়ের সাধারণ ফোসকা থেকে ইনফেকশন বাড়াবাড়ি দিকে যেতে পারে। তখন কিন্তু সমস্যার শেষ থাকবে না।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।