রাতে আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর পরও যদি দিনের বেলায় আপনার রোজই ঘুম আসে, তাহলে তা অবহেলা করবেন না। আসলে, খাবার এবং জলের মতো ঘুমও আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। মানবদেহ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। অনেকেই কম ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকেন, আবার অনেকের ঘুম খুব বেশি হয়। আর এই দুটি অবস্থাই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।
অতিরিক্ত ঘুম কেন পায়?
সারাক্ষণ ঘুম পাওয়ার সমস্যাকে বলা হয় হাইপারসোমনিয়া। এই রোগে, আপনি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও দিনে অতিরিক্ত তন্দ্রা অনুভব করেন। এ কারণে আপনার দৈনন্দিন জীবন ও কাজকর্মও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত মদ্যপান, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার কারণেও এই সমস্যা হয়। এই সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকেরা মাঝে মাঝে ঘুম থেকে মুক্তি পেতে বেশি চা-কফি খাওয়া শুরু করেন, যার কারণে তাদের আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জানুন এই সমস্যা থেকে মুক্তির কিছু সহজ উপায়।
ভাল ঘুমের অভ্যাস
প্রত্যেক মানুষেরই রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। আপনার ঘুমের ধরন ভাল রাখতে, একই সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠার প্রয়োজন নেই। ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে সকলের উচিত টিভি, মোবাইল এবং ল্যাপটপ সরিয়ে রাখা।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরে এনার্জি লেভেল ভাল থাকে। আপনার খাদ্যে প্রোটিন, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেটের একটি ভাল ভারসাম্য থাকা উচিত। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার শরীরে চিনি এবং ক্যাফেইনের মতো একই রকম প্রভাব ফেলে। তাই মনে রাখবেন ঘুমের আগে এমন কিছু খাওয়া উচিত নয় যা, আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
পর্যাপ্ত জল
আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন। ডিহাইড্রেশন আপনার শক্তির স্তরকে কমিয়ে দিতে পারে। ফলে আপনি ক্লান্ত এবং অলস বোধ করতে পারেন। তাই হাইড্রেটেড থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ব্যায়ামে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। আপনার শরীরকে ফিট রাখার পাশাপাশি, এটি মানসিক চাপ দূর করতেও কাজ করে। সকালে ব্যায়াম করলে রাতে ভাল ঘুম হয়।
মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
মানসিক চাপ আপনার ঘুমের শত্রু হতে পারে। মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য ধ্যান করুন। মেডিটেশন শরীরকে সতেজ রাখে এবং এটি মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে।