ইলিশের তেল-ঝাল, সরষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ কতই না রকমারি পদ পাচ্ছেন। সুস্বাদু ইলিশ খেতে গিয়ে পুষ্টির বারোটা বাজছে না তো? খাওয়ার আগে জেনে খান। তার আগে জানুন ইলিশ কীভাবে রান্না করলে পুষ্টি অক্ষুণ্ন থাকবে।
বছরভর টাটকা ইলিশের জন্য অপেক্ষা করে বাঙালি। ইলিশ বাঙালির আবেগ। বর্ষায় পাতে ইলিশ একবার অন্তত ইলিশ এনে রাঁধে না এমন বাঙালি কমই আছে। ইলিশের প্রচুর পুষ্টিগুণ। ইলিশে এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডপাওয়া যায়। যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইলিশে থাকে ওমেগা–৩ ও ওমেগা–৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। ইলিশে থাকে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। ইলিশের আয়রন রক্তস্বল্পতা রোধ করে এবং ভিটামিন সি আয়রনের শোষণকে ত্বরান্বিত করে।
তবে ইলিশের পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রাখতে কীভাবে রান্না করবেন? জানুন
ইলিশ কখনও অতিরিক্ত ভাজবেন। ইলিশ কাঁচা রেখে রান্না করলে সবথেকে বেশি উপকার। নয়তো হাবকা ভাজতে পারেন। ইলিশে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অপচয় হতে পারে। সবথেকে ভালো বেকড ইলিশ, ভাঁপা ইলিশ রান্না করে। এক্ষেত্রে ভাজার কোনই প্রয়োজন নেই।