North Bengal Tourism Darjeeling: উত্তরবঙ্গে তেমন গরম পড়েনি এখনও। তবে দক্ষিণবঙ্গে খাতায় কলমে গ্রীষ্মের আগেই ব্যাপক গরম শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে দাবদাহের আশঙ্কা করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। ঘরে এয়ার কন্ডিশনার কিছুটা স্বস্তি দিলেও, যাঁদের বাইরে বের হতে হয়, তাঁরা টের পাচ্ছেন সমস্যা। এই অবস্থায় যাঁদের হাতে ছুটি রয়েছে, বা ছুটি নেওয়ার পরিস্থিতি রয়েছে তাঁরা ঠান্ডা হওয়ার জন্য খোঁজ পড়েছে ঠান্ডা শহরের। এমনিতে দেশে অনেকগুলি হিলস্টেশন রয়েছে, তবে বাঙালির মনের কাছাকাছি কিংবা হাতের কাছে দার্জিলিংই সেরা বিকল্প সব সময়ই। তাই ভিড় উপচে পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। পর্যটকদের আনাগোনা। এতটাই যে, সাধারণ হোটেলের দামও চড়া হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মুখে দিলেই মাথার চাঁদি পর্যন্ত মিষ্টি হয়ে যায়, বেলাকোবার চমচম খেয়েছেন?
পর্যটকদের ভিড়ে হোটেলের অবস্থা খারাপ। বেশির ভাগ হোটেলেই তিলধারণের জায়গা নেই। দুপুর থেকে বিকেল ম্যালেই সময় কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ পর্যটক। নরেন্দ্রপুর থেকে আসা এক পর্যটক গোপাল মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁরা আচমকা প্ল্যান করে দার্জিলিংয়ে চলে এসে বিপাকে পড়েছেন। আগে থেকে বুকিং না থাকায় তাঁদের চড়া দামে হোটেল নিতে হয়েছে। পরীক্ষা পরবর্তী মরশুম এখনও চলছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এমনিতেই ভ্রমণ মরসুম চলে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু গরম বাড়তেই আরও বেড়েছে ভিড়। হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, “গত বছর এ সময় পর্যটক সংখ্যা ছিল নগন্য। তবে এ বার এই সময়ের রেকর্ড ভেঙেছে ৷
সূত্রে খবর মিলেছে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে হোটেল বুকিং এর পরিমাণ বেড়ে গেছে। প্রচন্ড গরমের হাত থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই ডেস্টিনেশন হিসাবে বেছে নিচ্ছেন দার্জিলিং সহ পাহাড়। মূল আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে শৈল শহর দার্জিলিং, তবে অনেকেই দার্জিলিং ছুঁয়ে আশেপাশের অফবিট জায়গাগুলিতে বেড়াতে চলে যাচ্ছেন। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। মাঝে করোনা লকডাউনের কারণে পর্যটন ব্যবসা পাহাড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পরিস্থিতির বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক। দার্জিলিংয়ের চমকপ্রদ আবহাওয়ার কারণে অনেকেই পাড়ি দিচ্ছেন, সকালবেলা তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বেলার দিকে পুনরায় শীতের আমেজ ফিরে আসছে। মেঘ ও কুয়াশার খেলা চলছে বিভিন্ন জায়গায়।
দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ সিকিমের বিভিন্ন হোটেলে ইতিমধ্যেই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। সমতলে গরম হলেও পাহাড়ের পরিবেশ আলাদা। এটা পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত থাকবে বলে আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের এক হোটেল মালিক গোরেন লেপচা জানিয়েছেন তাঁদের হোটেলে এই সময় হাউসফুল থাকে না। তবে গত ৪-৫ দিন ধরে পর্যটক মোটামুটি ভর্তি। অনলাইনে আগামী রবিবার পর্যন্ত ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে রয়েছে। বাকিগুলিও বুকিং হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। অন্যদিকে দীপেন ছেত্রী নামে এক হোটেল মালিক জানিয়েছেন তাঁদের হোটেলে আগামী ১৫ দিন ৫০ শতাংশ অ্যাডভান্স বুকিং রয়েছে। বাকিগুলিও খালি থাকবে না বলেই আশাবাদী তিনি।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ ইকো ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান রাজ বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ থেকে পর্যটকদের ঢল নামবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে তার আগেই পর্যটকের ভিড়ে আশার আলো। শুধু শহর নয়, অফবিট জায়গাগুলিতেও ভিড় রয়েছে ভালই।