আপনি যদি নিজেকে সুস্থ ও ফিট রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় (Diet) ডুমুর (Figs) রাখুন। ডুমুর ওজন কমায় (Weight Loss), হজমশক্তির (Digestion) উন্নতি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) দূর করে এবং রক্তে শর্করাকে (Blood Sugar) নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি অনেক রোগের প্রতিষেধক। এছাড়া এটি শরীরের অনেক উপকার করে।
যখন আমাদের শরীরের ময়লা পরিষ্কার করার কথা আসে, তখন ডুমুরের যে সেরা আর কিছু হতে পারে না। বাইরে থেকে পেঁয়াজের মতো দেখতে এই ফলটি মিষ্টি ও রসালো। আয়ুর্বেদিকরা এই ফলে নানা বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে এটিকে ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেয়। এখানে আমরা আপনাকে এমন কিছু উপায় বলছি, যার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ডায়েটে ডুমুর রাখতে পারেন এবং এর থেকে উপকার পেতে পারেন।
আরও পড়ুন:Jammu And Kashmir: জম্মুতে এক বছর বা তার বেশি বাস করলেই ভোটার? বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার
চিকিৎসকরা বলছেন যে সকালে ব্রেকফাস্টে ডুমুর খাওয়া খুবই ভাল। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ডুমুর খাওয়া যেতে পারে।
অন্যান্য ফলের মত কেটে: ডুমুর খাওয়ার এই উপায় হল সবচেয়ে সহজ। আপনি শুধু কিছু তাজা ডুমুর কিনুন এবং বাড়িতে আনুন এবং সেগুলি কেটে খান। সকালে দুই-তিনটি ডুমুর খেতে পারেন। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ রাখে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শুকনো ডুমুর সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এতে চিনি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে শুকনো ডুমুর খাওয়া এড়িয়ে চলুন। শুকনো ডুমুর সারারাত ভিজিয়ে খেলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
দুধের সঙ্গে ডুমুর: আপনি দুধে এক থেকে দুটি ডুমুর সিদ্ধ করতে পারেন, তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী পানীয় প্রস্তুত। এখানে ডুমুরের সঙ্গে দুধের উপকারিতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। আপনি রাতে এই দুধ পান করলে ভাল ঘুম হবে।
ডুমুর থেকে তৈরি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট: ডুমুর সব ধরনের মিষ্টান্নে চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে, কারণ এর শক্ত টেক্সচারের কারণে আপনি খুব সহজেই পুডিং, পুডিং, জ্যাম এবং পায়েস তৈরি করতে পারেন। ডুমুর থেকে কেক, মাফিন বা বরফিও তৈরি করতে পারেন, যা ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবেন। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডুমুরকে সকালের খাবারের অংশ করুন: আপনি যদি ওটস খান, তবে এতে ডুমুরও যোগ করতে পারেন। বাটিতে ওটস বা মুসলির সঙ্গে কিছু বাদাম, ফল এবং ডুমুর যোগ করে পুষ্টি আরও বাড়ানো যেতে পারে।
দুপুরের খাবারে ডুমুরের সালাদ: আপনি যদি সালাদে কিছু শুকনো ডুমুর যোগ করেন, তবে এতে জলের পরিমাণ বাড়বে এবং একই সঙ্গে আপনার সালাদও কুড়কুড়ে হয়ে যাবে। দুপুরের খাবারে ডুমুর সালাদ একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এটি প্রচুর পুষ্টি সরবরাহ করবে।