নরম তুলতুলে আর ওপর থেকে ছড়ানো মাখন ও রসুন কুচি। আমিষ বা নিরামিষ যে কোনও পদের সঙ্গেই দারুণ খেতে লাগে এই বাটার গার্লিক নান। সম্প্রতি অনলাইন ফুড ব়্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্ম টেস্ট অ্যাটলাস মার্চ ২০২৫-এ বিশ্বের সেরা রুটিদের মধ্যে ভারতের বাটার গার্লিক নানের স্বাদ সবচেয়ে ভাল বলে উল্লেখ করা হয়ছে। মাখন ও রসুনে ভরপুর এই ভারতীয় রুটি তার স্বাদ অনুসারে অর্জন করেছে ৪.৭। এই বাটার নান ইতিমধ্যেই ভারতীয়দের মন জয় করে নিয়েছে আর ভারতীয় ক্যুইজিনে এই বাটার গার্লিক নান বেশ প্রিয় সকলের।
স্বাদে সমৃদ্ধ এবং কোন কিছুই ছাড়া এই বাটার গার্লিক নান খাওয়া যায়। স্বাদ ও তার আকারের জন্য এই খাবারটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে। জনপ্রিয় অনলাইন ফুড গাইড টেস্ট অ্যাটলাস তাদের বিশ্বের বিভিন্ন ক্যুইজিন ও খাবারের তালিকায় ভারতের একাধিক রুটিকে শীর্ষে স্থান দিয়েছে। শুধু বাটার গার্লিক নান নয়, কড়কড়ে ও মশলাদার পুরের জন্য অমৃতসরি কুলচা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাঙালিদের পরোটা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে অপরদিকে বিভিন্ন ধরনের হওয়ার জন্য নান রয়েছে অষ্টম স্থানে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবাঙালিদের প্রিয় পরাঠা রয়েছে ১৮তম স্থানে। ২৬তম স্থানে আছে বাটুরে এবং ২৮তম ও ৩৫তম স্থানে রয়েছে আলু নান ও সাধারণ হাতরুটি।
গোটা বিশ্বের হরেক রকম রুটি স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ত্রকিয়ে-র আরম্বা পিদেসি, যা তার নৌকার আকৃতির চেহারা এবং ঘন পুরের জন্য বিখ্যাত। মালেশিয়ার রোটি চানাই রয়েছে চতুর্থ স্থানে, এরপরই রয়েছে কলোম্বিয়ার প্যান ডে বোনো। এছাড়াও আছে পর্তুগাল ও ইতালির রুটিরাও। প্রসঙ্গত, গত বছরও বিশ্বের ১০০টি সেরা খাবারের তালিকায় ভারতের বাটার গার্লিক নান স্থান পেয়েছিল।
সাধারণত তন্দুরে (মাটির ওভেন) নান তৈরি করা হয়। তবে এটা বাড়িতে তাওয়াতেও তৈরি করা যয়। বাড়িতে নান তৈরি করার সময় গরম তাওয়াতে ময়দার রুটি রেখে তা আগুনের ওপর উল্টে দেওয়া হয়। যতক্ষণ না সেটা ভাল করে সেঁকা হচ্ছে। বাটার গার্লিক নান তৈরি করার আগেই রুটিতে মাখন ও রসুন কুচি দিয়ে সেঁকে ফেলা হয়। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় রুটির এই স্বীকৃতি সত্যিই দেশের খাদ্য প্রেমিকদের কাছে দারুণ সুখবর। এমনিতেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় খাবার বরাবরই সমাদৃত।