এ কথা ঠিক শীত কিন্তু এখনও আসেনি। তবে ঠান্ডা যে পড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমছে। আবার কখনও বা তাপমাত্রা বাড়ছে।
ঘটনা হল আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপানার জন্য অনেক সময় রোগভোগের পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগা তো স্বাভাবিক ব্যাপার যেন!
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে মরশুমি ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে রোগব্যাধিকে দূরে রাখবে। এই কাজ ফল বা সবজি করে, তার মধ্যে একটা হল আমলকি। আমলকি শরীরের অনেকগুলো উপকার করতে পারে। আমরা জেনে নেব আমলকি কীভাবে আমাদের লাভ দিতে পারে।
ভিটামিন সি থাকার সুফল- আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যা খুবই কাজের। বিশেষ করে ঠান্ডা থেকে শরীরকে বাঁচাতে। ১০০ গ্রাম আমলকিতে কমলা লেবুর তুলনায় ১০ থেকে ৩০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। প্রত্যেক দিন আপনি যদি আমলকি খান, তা হলে হার্টের রোগ থেকে বাঁচা যেতে পারে।
ইমিউনিটি সিস্টেমের জন্য কার্যকর- শীতের সময়ে ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিক রাখা খুবই দরকারি। আমরা সেই কাজ আমলকির সাহায্যে খুব সহজেই করতে পারি। সেখানে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। যা ঠান্ডা এবং ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তপোক্ত করেন আর শরীর রোগের থেকে রক্ষা পায়।
মুখের ভেতর ছুলে যাওয়া- যদি আপনার মুখের ভেতরে মাঝেমাঝেই ছুলে যায়, তা হলে আমলকি দারুণ কাজ দিতে পারে। এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। গরম জলে আমলকির জুস মিলিয়ে প্রতিদিন খান। কিছুদিনের মধ্যেই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বারবার মুখের ভেতরে ছুল যাবে না। রোজ কাঁচা আমলকি খেলে বা আমলকির জুস খেলে দাঁত আর মাড়ি শক্ত হয়। এর পাশাপাশি মুখ থেকে দুর্গন্ধও কমায়।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ- আমলকির আরও কটা বড় গুণ হচ্ছে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা। সেখানে রয়েছে ক্রোমিয়াম নামে একটি জিনিস, যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য আমলিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তবে আমলকিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। তাই এটা বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের সমস্যা হতে পারে।
ব্রনো দূর করতে- আমলকির আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এটা রক্ত পরিষ্কার করে। তাই ব্রনোর সমস্যা থাকলে সেটাও অনায়াসে দূর হয়ে যায়। ত্বক চকচকে থাকে এবং উজ্জ্বল হয়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ভিটামিন সি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। আর তাই ত্বক ভালো থাকে। ত্বকের নষ্ট হয়ে যাযওয়া বা খারাপ হয়ে যাওয়া কোষে নতুন করে প্রাণ দেয় যেন।
খুশকি এবং সাদা চুলের সমস্যা- এই সমস্যা দূর করতে প্রত্যেকদিন আমলকি হেয়ার ক্লিনজার দিয়ে মেসেজ করলেই হবে। তা হলে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।চুলের নতুন চমক আসবে। যদি সময়ের আগেই চুল সাদা হয়ে যায়, তা হলে আমলকির তেল চুলে লাগান। আপনার সব সমস্যা মিটে যাবে।