Representative Imageমহিলারা শরীরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অস্ত্রোপচার করে থাকেন। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মনে করা হত, ছেলেরা শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে এতটাও ভাবিত নন। কিন্তু, সেই ধারণা বদলাচ্ছে। কারণ, পুরুষরাও এখন নানান সার্জারি করাচ্ছেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আজকাল অনেক ছেলে পুরুষাঙ্গে ফিলার করাচ্ছেন। যার লক্ষ্য হল, লিঙ্গের পরিধি বাড়ানো। দ্য এস্থেটিক ক্লিনিকের পরিচালক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডঃ দেবরাজ শোম বলেন, 'পেনিস ফিলার হল নন-সার্জিক্যাল একটি প্রক্রিয়া। লিঙ্গের পরিধি বাড়াতে বা অসামঞ্জস্যতা রুখতে ডার্মাল ফিলার বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।'
এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না। লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া করা হয়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এটি যৌন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না। তবে লিঙ্গেরল পরিধি বাড়ানো যায়।
তবে ফিলার করলে অভিজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জেনের কাছে যাওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন দেবরাজ শোম। তাঁর মতে, অভিজ্ঞ সার্জেনের কাছে পেনিস ফিলার করালে তা নিরাপদ। ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে না।
তবে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই ফিলার করানো কখনও উচিত নয়, এমনটাই জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। বলেন, ফিলার প্রক্রিয়া ঠিকমতো সম্পন্ন না হলে পুরুষাঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। সংক্রমণ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। ফোলাভাব আসতে পারে। যা খুব ক্ষতিকারক।
অনেকেই মনে করেন, এই ফিলারের লক্ষ্য পুরুষাঙ্গের ক্ষমতা বৃদ্ধি। তবে তা আদতেই নয়। আসলে অনেকের পুরুষাঙ্গ নিয়ে হীনমন্যতা থাকে। তা ঠিক করে মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যই ফিলার করা হয়।
ফিচারের খরচও খুব বেশি নয়। আমাদের দেশে ৭০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা। তবে কম খরচের চক্করে পড়ে যেন কেউ বিপদে না পড়েন সেই সতর্কবার্তাও দেন তিনি।
ওই চিকিৎসক জানান, বেশিরভাগ হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ফিলার একজন ব্যক্তির ১২ থেকে ১৮ মাস মতো স্থায়ী হয়। তারপর এর প্রভাব হ্রাস পেতে শুরু করে। তবে ফিলার অতিরিক্ত বা বেশিবার করলে ফাইব্রোসিস হতে পারে।
কোন বয়সী পুরুষরা বেশি করছেন এই ফিলার? ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়স্করা বেশি ফিলারের দিকে এগোচ্ছেন।