ফুচকা খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ দূরবীন দিয়েও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঝাল ঝাল আলুর পুর ভরা মুচমুচে ফুচকায় কামড় বসাতেই যেন মেলে প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি। সন্ধেবেলা এই মুখরোচক খাবার সারাদিনের ক্লান্তি এক ঝটকায় দূর করে দেয়। কিন্তু অনেক সময়ে বলা হয় বর্ষাকালে ফুচকা খাওয়া ক্ষতিকর। সত্যিই কি তাই?
বিশেষজ্ঞদের একাংশ অনেক সময়েই বলেন, বর্ষাকালে রাস্তায় ফুচকা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। বলা হয়, ফুচকা দেখে নিতান্তই যদি জিভে জল চলে আসে তবে ফুচকার পাপড়ি কিনে বাড়িতে পুর মেখে খেতে পারেন।
তবে বর্ষাকালে ফুচকা খেতে বারণ করার অন্যতম কারণ জীবাণু। বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এই সময় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির হার বেড়ে যাওয়ায় পেটের অসুখের ঝুঁকিও যায় বেড়ে। হতে পারে পেট খারাপ, ডায়রিয়ার মতো অসুখ। যারা ফুচকা ভালোবাসেন না, তারা প্রায়ই বলেন জলের কথা। অর্থাৎ ফুচকা বিক্রেতা টকজলের ক্ষেত্রে কোন জল ব্যবহার করছেন, আদৌ সেই জল পরিশোধিত কি না এই প্রশ্নগুলি কিন্তু প্রাসঙ্গিক এবং এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে, ফুচকা তেলে ডিপ ফ্রাই করেই তৈরি করা হয়। এবার সেক্ষেত্রে কোন তেল ব্যবহার হচ্ছে, তা যারা খাচ্ছে তারা কিন্তু জানতে পারছে না। ফলে তেলটি আদৌ ভালো কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। খারাপ তেল ব্যবহারের ফলস্বরূপ হার্টের অসুখ পর্যন্ত হতে পারে।
মশলাপাতি ধোয়ার কিছু নেই। কিন্তু ফুচকা বিক্রেতা যে হাত টাকায় দিচ্ছেন, সেই হাত দিয়েই আবার স্বাদবাহারি মশলা দিয়ে আলু সেদ্ধ মাখছেন। বুঝতে পারছেন ক্ষতির পরিমাণটা? নিশ্চয় মানবেন, রাস্তার যেখানে দাঁড়িয়ে বিক্রেতা ফুচকা বিক্রি করছেন, তা সচরাচর খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না। আর বর্ষাকালে রাস্তার ধারে জল জমা, পোকামাকড় ঘুরে বেড়ানো তো নিত্যদিনের সমস্যা। ফলে সতর্ক হতে হবে আপনাকেই। আচ্ছা, ফুচকা খাওয়ার আগে আপনি নিজে হাত ধুয়ে নেন তো? যদি না করেন, তা শুরু করুন। গ্রীষ্ম, বর্ষা নির্বিশেষে যখনই ফুচকা খাবেন, চেষ্টা করুন হাতে ধুতে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে। না হলে জীবাণুর কুপ্রভাব থেকে মুক্তি নেই আপনারও।