Isabgol Benefits: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে ইসবগুলের ভুসি, কতটা খাবেন?

Isabgol Benefits: কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অনেকেই ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন। পেটের নানাবিধ ব্যামো সারাতে আয়ুর্বেদে এই ভেষজের ব্যবহার বহু পুরনো। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ইসবগুলের ভুসির ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন ধরে।

Advertisement
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে ইসবগুলের ভুসি, কতটা খাবেন?ইসবগুলের ভুসি
হাইলাইটস
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অনেকেই ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অনেকেই ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন। পেটের নানাবিধ ব্যামো সারাতে আয়ুর্বেদে এই ভেষজের ব্যবহার বহু পুরনো। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ইসবগুলের ভুসির ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন ধরে। কিন্তু অনেকের কাছেই অজানা এই ইসবগুলের ভুসি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত। ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ ভুসি খুবই উপযুক্ত। এই খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা রক্তে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ় শোষণে বাধা দেয়। ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ এবং উৎপাদনের সমতা বজায় রাখতেও ইসবগুলের ভূমিকা রয়েছে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ
ডায়রিয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে ইসবগুল। এটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক যা পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে কাজ করে। এদিকে ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়রিয়া দ্রুতই সেরে ওঠে। ডায়রিয়া হলে দিনে দুইবার ভরা পেটে তিন টেবিল চামচ দই ও দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাবেন। ইসবগুলের ভুসি খেলে তা আমাশয় থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে।

রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়
ইসবগুলের ভুসি খেলে অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।

অন্ত্র ভাল রাখে
শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করতে এবং অন্ত্র ভাল রাখতে ইসবগুলের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহার বৃদ্ধি পায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ইসবগুল আপনি পাউডার বা ভুসি যেভাবেই খান না কেন, বেশ কিছু জার্নালে বলা হয়েছে পাঁচ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত। অর্থাৎ এক থেকে দুই চা চামচ পর্যন্ত সারাদিনে পরামর্শ রয়েছে, তবে এটি অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শে হতে হবে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement