scorecardresearch
 

এই ফল-সব্জিগুলি খেলে চিকিৎসক ছাড়াই ঘরে ফুসফুস ভালো রাখা সম্ভব

করোনা কিংবা ওমিক্রন থেকে বাঁচতে উপায় একটিই। ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তুলুন। যাতে করোনা ঢুকলেও কেশাগ্র স্পর্শ করতে না পারে। সাধারণ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে কিন্তু চিকিৎসকের কাছে না গিয়েই ফুসফুস ঠিক রাখতে পারেন।

Advertisement
ফুসফুস-ই সম্পদ ফুসফুস-ই সম্পদ
হাইলাইটস
  • ফুসফুস ভাল রাখা যায় ঘরেই
  • মেনে চলুন এ কটি টিপস
  • ফল-সবজি খান, ভাল থাকুন

দেশে করোনার ঝড় চলছে। করোনা কিংবা ওমিক্রন থেকে বাঁচতে উপায় একটিই। ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তুলুন। এই বাংলাতেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। করোনায় শ্বাসনালি ও ফুসফুসে সরাসরি আক্রমণ করে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার পরও আক্রান্তদের ফুসফুস অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে চিকিৎসকদের অভিমত।

ফুসফুসই key ফ্যাক্টর

ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া, ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন, যা এই মুহূর্তে কোনওভাবেই কাম্য নয়। ফুসফুসের ক্যানসার হলেও সমস্যা হতে পারে। নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী সাধারণত কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া, উচ্চমাত্রার জ্বর ও আক্রান্ত দিকে তীব্র বুকের ব্যথা অনুভব করেন। ভাইরাসজনিত আক্রমণ হলে রোগী শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় তীব্র ব্যথা অনুভব করে।

ফুসফুস ভাল রাখুন ঘরেই

এই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে ফুসফুস সুস্থ রাখা একান্ত জরুরি। অনেকের আগে থেকেই ফুসফুসে সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে তাঁদের আরও যত্নবান হওয়া উচিত। তবে ঘরেই সাধারণ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে কিন্তু চিকিৎসকের কাছে না গিয়েই ফুসফুস ঠিক রাখতে পারেন।

লেবু, আপেল, আঙুর, আনারস, গাজর

সকালে ব্রেকফাস্ট করার আগে ৩০০ মিলিলিটার জলের সঙ্গে ২ টি লেবুর রস চিপে জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। আঙুর, আপেল বা আনারসের জুস খেতে হবে বেশি করে। কারণ এসব ফলের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিকে উন্নত করে। এ ছাড়া খাদ্য তালিকায় রাখুন গাজরের জুস। গাজরের জুস দেহের রক্তে ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

কলা, নারকেল, পালং

দুপুরের খাবার খাওয়ারে কলার জুস, নারকেলের শ্বাস, পালং শাক খান। কারণ এই খাবারগুলোর মধ্যে আছে পটাশিয়াম যা দেহের বিষাক্ত টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি

Advertisement

রাতে ঘুমানোর আগে আপনি ১ কাপ গ্রিন টি পান করুন। এই চা পানের মাধ্যমে আপনার দেহ থেকে সমস্ত টক্সিন বের হয়ে যাবে যা দেহের ক্ষতি করে। এই পদ্ধতি মেনে চলার সময় এমন কোনও কাজ করা যাবে না যা ফুসফুসের ওপরে চাপ প্রয়োগ করে। যেমন ধুমপান বন্ধ রাখুন।

এছাড়া ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান

ভিটামিন-এ রোজ খাবারে রাখুন। গাজর, কমলালেবু, টমেটো, ডিমের কুসুম, পালংশাক, রাঙা আলু, ব্রোকোলি-সহ নানা টাটকা ফল ও সবজিতে ভিটামিন এ থাকে। এছাড়া ফুসফুসকে রক্ষা করতে পারে তুলসিপাতা। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসিগাছ। প্রতিদিন অল্প করে তুলসীপাতার রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর হয়। এছাড়া আমলকী সহ সব ধরনের লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।নিয়মিত গোলমরিচ খান। আপনার শ্বাস কষ্ট থাকবে না। ফুসফুসের জন্য আদা-রসুনও খুবই ভাল। আদা-রসুন ফুসফুস পরিষ্কার রাখে ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে অ্যাজমা ও ব্রংকাইটিসের মতো অনেক শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় মহৌষধি গুড়।

Advertisement