
অধিকাংশ মানুষই কঠোর পরিশ্রম, ডায়েট কিংবা শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন কমানোর উপায় খোঁজে। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে কাজ, পড়াশোনা এবং পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে পুরুষ এবং মহিলা, উভয়ই শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় বের করতে পারেন না। পর্যাপ্ত ঘুমও হয় না অনেকের। কিন্তু জানেন কি, জাপানিরা এমন একটি কৌশল ব্যবহার করে যা মাত্র ১২ মিনিটে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩৮ বছর বয়সী এক ইনফ্লুয়েন্সার ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন, তিনি তাঁর রুটিনে জাপানি হাঁটার পদ্ধতি ব্যবহার করে ওজন কমিয়েছেন। তিনি সেই পদ্ধতিটিও শেয়ার করেছেন।
৩৮ বছর বয়সী মানসী গ্রোভার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন, 'যদি তুমি মনে করো হাঁটা ফল আনে না, তাহলে জাপানি পদ্ধতিতে হাঁটার চেষ্টাও করোনি কখনও। এই পদ্ধতিত তোমার কোরক সক্রিয় করে, স্বাভাবিক হাঁটার তুলনায় বেশি ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। এটি PCOS, থাইরয়েড, সন্তানসম্ভবা ও হাঁটুর সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত।'
জাপানিদের হাঁটার ধরণ কী?
৩ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস নিন: ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে ৩ সেকেন্ডের জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং ভারসাম্য বজায় রাখুন।
৭ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ছাড়ুন: ৭ সেকেন্ডের জন্য মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
ছোট পদক্ষেপ: লম্বা স্টেপ ফেললে ক্যালোরি বেশি পোড়ে। তবে জাপানি হাঁটায় ছোট ছোট স্টেপ ফেলা হয়। এটি শরীরের পেশীগুলিকে সক্রিয় করে।
১০ থেকে ১২ মিনিট হাঁটা: প্রতিদিন ১০-১২ মিনিট হাঁটতে হবে এবং ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে ওজন কমতে শুরু করবে।
জাপানি হাঁটার সুবিধা
> এই হাঁটার ধরণ অভ্যন্তরীণ পেশীগুলিকে সক্রিয় করে
> পেট ফাঁপা কমায়
> ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
> ক্যালোরি পোড়ানোর হার বেশি
> সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোমর আরও টোনড হয়
গবেষণা কী বলে?
২০২৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জাপানিদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার ফলে উরুর পেশীর শক্তি, অ্যারোবিক ফিটনেস এবং রক্তচাপ উন্নত হয়েছে।
২০২৪ সালের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইন্টারভাল ওয়াকিং ট্রেনিংয়ের উপর ভিত্তি করে জাপানি হাঁটার পদ্ধতি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে। পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে এবং জীবনযাত্রার রোগের ঝুঁকি কমায়।
ওয়েবএমডির মতে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু এই হাঁটার ফলে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এবং ক্যালোরি বার্নি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা স্বাভাবিক হাঁটার থেকে ভাল।
জাপানি হাঁটা ক্যালোরি পোড়াতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের ক্ষমতা উন্নত করতে ও সর্বোপরি রক্তে শর্করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।