কর্মব্যস্ত জীবন। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম। তাই অসুখ-বিসুখ লেগেই রয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ফাস্ট ফুড। তার প্রভাব পড়ছে মানুষের শরীর। সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এ কারণে অনেকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা লেগেই রয়েছে। এই রোগ একবার ধরলে আর মুক্তির উপায় নেই। অনেকে লাখ লাখ টাকার ওষুধ খেয়েও রেহাই পান না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,কদম গাছ ওই সব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
কদম গাছের উপকারিতা
ঔষধিগুণে ভরপুর কদম গাছ। বিবিধ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,প্রাচীনকাল থেকেই ঘরোয়া উপায়ে কদম গাছের ব্যবহার হয়ে আসছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই গাছের পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়! বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মোকাবিলায় সহায়ক। এর ব্যবহারে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।
কদম পাতা ক্ষত সারায়
কদম পাতা ক্ষত সারাতে কাজ করে। জ্বর কমাতেও সহায়ক কদম। এর ছাল থেকে তৈরি ওষুধ খেলে জ্বর সেরে যায়। কদমে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। কদম্বের মূলে এমন উপাদান রয়েছে যা লিপিড কমাতে কাজ করে। লিভার সংক্রান্ত সমস্যায়ও এর মূল খুবই কার্যকরী। এতে উপস্থিত ছত্রাকবিরোধী গুণ ত্বক সংক্রান্ত রোগের প্রতিকারে কার্যকর।
কদম গাছের ৫ উপকারিতা
শিশুদের কৃমির উপদ্রবে- ৪-৫ বছরের শিশুদের ২০০ মিলি. কচি কদম পাতার রস দিনে একবার খাওয়ালে কৃমির উপদ্রব কমে। সকালে-বিকালে দু’বার করে খাওয়ালে সপ্তাহখানেকের মধ্যে উপকার মিলবে। বয়স অনুপাতে পাতার রসের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
মুখের দূর্গন্ধ- মুখের দুর্গন্ধ ঠিক করতে কদম ফুল কুঁচিয়ে জলে সেদ্ধ করে নিন। সেই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। এতে দুর্গন্ধ দূর হবে।
ব্যাথা উপশমে-:কদমের কচি ছাল চন্দনের মতো বেটে সাধ্যমতো গরম করে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা দুয়েরই উপশম হয়।
মুখের ক্ষত কমাতে- মুখে ঘা বা ক্ষত হলে কদম পাতার ক্বাথ মুখে নিয়ে কুলকুচি করলে সেরে যাবে। পচা ঘা বা ক্ষত ট্যানিনের সংস্পর্শে এলে ক্ষত কোষ অধঃক্ষেপিত হয়ে পাতলা আবরণের সৃষ্টি করে ও ক্ষত সারিয়ে তোলে।
শক্তি বৃদ্ধি- কদম ছালের রস জ্বর নাশক। শক্তি বাড়ায়।
আরও পড়ুন- গমের আটা ডায়াবেটিস রোগীদের বিষের সমান,এই ৩ ধরনের রুটিতে কমে সুগার