
কারি পাতা কেবল সুস্বাদু ভেষজই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে উপস্থিত যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কারি পাতার অসংখ্য উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছে, হৃদরোগ থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য ভালো থাকে
উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারি পাতা এই মাত্রা কমাতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারি পাতার নির্যাস ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আলঝাইমারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে
কারি পাতা আপনার স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হতে পারে, অর্থাৎ আপনার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর জন্যও। আলঝাইমার হল একটি মস্তিষ্কের রোগ যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং নিউরোনাল ক্ষয় দ্বারা চিহ্নিত। গবেষণায় দেখা গেছে যে কারি পাতায় এমন যৌগ রয়েছে যা আলঝাইমারের মতো স্নায়বিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক
কারি পাতায় এমন যৌগ থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত তিনটি কারি পাতার নির্যাসের টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে যে, সবগুলোরই ক্যান্সার প্রতিরোধী শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং স্তন ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। একটি প্রাণী গবেষণায়, যখন কারি পাতার নির্যাস মুখে দেওয়া হয়, তখন এটি টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে এবং ফুসফুসে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
যদিও অনেক গবেষণায় কারি পাতা খাওয়ার উপকারিতা প্রকাশ পেয়েছে, তবুও ওষুধ হিসেবে না রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে এটিকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাই ভালো।
আপনার খাদ্যতালিকায় কারি পাতা কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করবেন?
আপনি প্রতিদিন ৪-৫টি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন, অথবা জলে ফুটিয়ে পান করতে পারেন। বিকল্পভাবে, আপনি এগুলিকে ডাল, শাকসবজি বা স্যুপে যোগ করে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।