কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুস্থ মানব শরীরে থাকে জোড়া কিডনি। কিডনি রক্তকে পরিশ্রুত করে। শরীর থেকে বিষাক্ত এবং বর্জ্য পদার্থকে অপসারণ করে। হরমোন তৈরি , খনিজগুলির ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক কিডনি। সেই সঙ্গে শরীরে তরলের ভারসাম্য ধরে রাখে কিডনি। সেই কিডনি বিকল হলে মানুষ আর স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারে না। কিডনির স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য তাই নির্দিষ্ট ডায়েট দরকার।
কিডনি বিকলের কারণ ও লক্ষণগুলি কী কী?
কিডনি বিকল হওয়ার নানা কারণ আছে। একবার কিডনি বিকল হয়ে গেলে বা কাজকর্মে কোনও ধরনের বাধা সৃষ্টি হলে শরীরে নোংরা তরল জমা হতে পারে। যে লক্ষণগুলি দেখা দেয়- শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা,বুক ধড়ফড়, ঘুমের ব্যাঘাত, খিদে কমা, প্রস্রাব বৃদ্ধি বা হ্রাস, রক্তাল্পতা এবং ত্বকে চুলকানি।
কীভাবে কিডনি সুস্থ রাখবেন?
কিডনিকে সুস্থ ও সবল করতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। এমন কিছু খাবার আছে যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। কিডনি বিকল তো বটেই জমতে পারে পাথরও। কিডনি সুস্থ রাখতে এই সব খাবার পরিহার করা জরুরি।
আরও পড়ুন- দুধ-দইয়ের মতো ক্যালসিয়াম এই ৫ খাবারে, ২০৬ হাড়কেই করে মজবুত
সাদা পাউরুটি- NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, কিডনির ক্ষতি এড়াতে হলে সাদা পাউরুটি ছাড়তে হবে। ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন। তবে সাদা পাউরুটি একদম নয়। কিডনির রোগী হলে তো আরওই খাওয়া যায় না। ব্রাউন ব্রেডে ফাইবার বেশি থাকে। এছাড়া ফসফরাস এবং পটাসিয়াম কম থাকে, ফলে কিডনির জন্য নিরাপদ।
কলা- কলা একটি স্বাস্থ্যকর ফল। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এতে পটাসিয়াম বেশি এবং সোডিয়াম কম থাকে। ফলে শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে পটাসিয়াম কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আরও পড়ুন- সম্বন্ধ করে বিয়েও হবে হিট, খালি স্ত্রীর কাছে এই ৫ জিনিস আশা করবেন না
দুগ্ধজাত খাবার- দুগ্ধজাত খাবারে থাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টি। এফডিএ অনুসারে, দুগ্ধজাত খাবার প্রোটিন,ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যধিক ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নয়। তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
নুন- সোডিয়ামের বড় উৎস নুন। নুন খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। যা কিডনির ক্ষতি করে। নুনের পরিবর্তে খাবারে বেশি করে কাঁচা মশলা ব্যবহার করুন। কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে নুন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
চিনি- শরীরে অসুখ-বিসুখ বাড়িয়ে দিতে পারে চিনি। কিডনির জন্যও বিপজ্জনক চিনি। একবার রক্তে শর্করার মাত্রা ১৮০ mg/dl ছাড়িয়ে গেলে কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রস্রাবে চিনি বেশি নির্গত হয়। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।