শীতে অনেকেই কাহিল হন হাঁটু ব্যথায়। আসলে ঠান্ডায় হাঁটুর অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। হাঁটুতে ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। সেগুলি হল-বাত, শরীরে পুষ্টির অভাব, ওজন বৃদ্ধি, জয়েন্টগুলির মধ্যে ফ্যাট কমে যাওয়া, শরীরে ভিটামিন-সি, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাব, ইউরিক অ্যাসি়ড, পুরনো চোট বা কোনও সংক্রমণ। সাধারণত ৪০ বছরের পর মানুষের হাঁটুতে ব্যথা হতে শুরু করে। তবে আজকাল কমবয়সীরাও হাঁটুর ব্যথায় কাতর হচ্ছেন। অনেক সময় আঘাতের কারণেও হাঁটুতে ব্যথা হয়। কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে হাঁটুর ব্যথার উপশম করবেন?
AIIMS-এর প্রাক্তন পরামর্শদাতা এবং চিকিৎসক বিমল ঝাঞ্জারের মতে, হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পেলে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। নিমেষে নিরাময় পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক হাঁটুর ব্যথার উপশমে কী করবেন।
ব্যথা এবং ফোলা নিয়ন্ত্রণে আপেল ভিনেগার (apple vinegar)
হাঁটুর ব্যথায় কাতরাতে থাকলে আপেল ভিনেগার খান। আপেল সাইডার ভিনেগার প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যথা থেকে মেলে মুক্তি। দিনে দু'বার দু' চামচ আপেল ভিনেগার খান, হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
তিলের তেল এবং লেবুর রস (sesame oil and lemon juice)
হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে একটি প্যানে তিলের তেল নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই তেল গ্যাসে কিছুক্ষণ গরম করে নিন। তাক পর ব্যথার জায়গায় লাগান। তিলের তেল হাঁটু ব্যথা এবং ফোলাভাব থেকে উপশম দেয়। তিলের তেলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে কার্যকর। কমায় স্নায়ুর উত্তেজনাও। তিলের তেল দিয়ে মালিশ করলে ব্যথা ও ফোলা উপশম হয়।
মেথিদানা (fenugreek seeds)
মেথিদানায় রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো গুণ রয়েছে। যা হাঁটুর ব্যথা উপশমে কার্যকর। মেথি দাদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেয়ে নিন।
রসুন ও সর্ষের তেল দিয়ে মালিশ (garlic and mustard oil)
হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সর্ষের তেলে রসুনের কোয়া মিশিয়ে কিছুক্ষণ গরম করুন। রসুন কালো হয়ে গেলে তেল ঠান্ডা করে হাঁটুতে লাগালে ব্যথা উপশম হয়।