Vande Bharat Express Train: ৬ ঘণ্টাতেই এবার শিলিগুড়ি টু কলকাতা, সামনের শীতের আগেই মিলবে পরিষেবা। আগামী শীতের আগেই চালু হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন (Vande Bharat Express Train) । মিরিক, কালিম্পং-সহ নেপাল ও ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত ট্রেন চালানোর উদ্যোগ রেলের । ডিসেম্বরের আগেই শেষ হবে সেবক-রংপো প্রকল্পর কাজ ।
কী কী সুবিধা?
এই ট্রেনটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা আসন। এগুলি ১৮০ ডিগ্রি থেকে ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরানো যেতে পারে এবং বিমানের আসনের মতো সুবিধাও মিলবে এই আসনগুলিতে। ভারতের ট্রেনে এই ধরনের আসন এই প্রথম। এই ট্রেনে কাভাচ প্রযুক্তি (Kavach technology)-সহ একাধিক উন্নত সুবিধা রয়েছে। কাভাচ প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানো খুব সহজেই সম্ভব হবে।
রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কত?
বন্দে ভারত ট্রেনের জন্য এই আসনগুলি ফাইবার রিইনফোর্সড পলিমার দিয়ে তৈরি করা হবে। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও খুব কম হবে বলে জানা গিয়েছে। এই আসনগুলি যাত্রীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করবে।
গতি কত ও কত সময় লাগবে?
এই ট্রেনের কামরাগুলিতেও Suspended Traction Motors থাকবে। ফলে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এই ট্রেনটি যাত্রা করতে পারবে। এই প্রযুক্তির ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, তাঁরা আরামদায়কভাবেই যাত্রা করতে পারবেন। জানা গিয়েছে, সব শ্রেণিতেই হেলান দিয়ে বসার মতো আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্সিকিউটিভ কোচগুলিতে ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যাবে, এমন আসন দেওয়া হয়েছে। এটি শতাব্দী এক্সপ্রেস থেকেও কম সময় লাগবে। আনুমানিক যাত্রার সময় ৬ ঘন্টা।
বিনোদনের ভরপুর বন্দোবস্ত
যাত্রীদের তথ্য দেওয়া ও বিনোদনের জন্য প্রতিটি কোচে 32 ইঞ্চির স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। যাতে দৃষ্টিহীনরা এই ট্রেনে কোনওরকম সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য ব্রেইল অক্ষরে আসন নম্বরও লেখা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য শৌচাগারেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই ট্রেনে।
ভাড়া কত টাকা?
বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসের গতি যেমন বেশি, তেমন ভাড়াও অনেকটাই বেশি। দিল্লি ও বারাণসীর মধ্যে এই ট্রেনের চেয়ারকারের ভাড়া ১৭৯৫ টাকা। যা শতাব্দী এক্সপ্রেসের প্রায় দেড় গুণ। আর এক্সজিগিউটিভ ক্লাসের ভাড়া প্রায় ৩৫২০ টাকা। যা ওই যে কোনও প্রিমিয়াম ট্রেনের এসি কামরার ভাড়ার চেয় অনেকটা বেশি।
কীভাবে বুকিং?
বুকিং করতে পারবেন অনলাইনে, বন্দে ভারতের নিজস্ব ওয়েবসাইট, আইআরসিটিসি, রেলের কাউন্টারগুলি থেকেই।
খাবার কেমন মিলবে?
তবে এই ভাড়ার মধ্যে পাবেন উচ্চমানের খাবার বলে রেলের প্রতিশ্রুতি। রেলের দেওয়া হিসাব অনুসারে, এগজিকিউটিভ ক্লাসে সকালের চা, ব্রেকফাস্ট.ও লাঞ্চের জন্য ভাড়ার মধ্যে ধরা যাত্রীদের কাছ থেকে ধরা হয়েছে ৩৯৯ টাকা। চেয়ারকারের যাত্রীদের খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে ৩৪৪ টাকা।
যাত্রী নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা থাকছে?
এই ট্রেনে রিয়ারভিউ ক্যামেরা-সহ কোচের বাইরে চারটি প্ল্যাটফর্মের দিকে মুখ করে ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। এই ট্রেনটিকে আগামী দিনের জন্য ভাবা হয়েছে। সেজন্য এর ডিজাইনে অত্যাধুনিকতার ছোঁয়া রাখা হয়েছে। এখানে উন্নত মানের Regenerative Braking System দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে। যদি ট্রেনের মধ্যে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য থাকছে বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট সহজেই গার্ড ও যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এই ট্রেনে থাকছে Automatic Fire Sensors, CCTV camera, wifi-এর সুবিধা এবং জিপিএস সিস্টেম।