Alcohol Damage Liver: লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি পাঁচ বা দশটি নয়, ৫০০টি ফাংশন সম্পাদনের জন্য দায়ী। যে কারণে এর ত্রুটি শরীরের প্রায় সব অংশে প্রভাব ফেলে।
লিভারের ক্ষতি কীভাবে হয়?
অ্যালকোহল লিভারকে দ্রুত পচানোর কাজ করে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে লিভারে চর্বি জমে যা সিরোসিস, অ্যালকোহলিক হেপাটাইটিসের মতো রোগের দিকে পরিচালিত করে। এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাস এবং বসে থাকা জীবনযাপনও লিভারের ক্ষতি করতে কাজ করে।
লিভার নিরাময়ে কী করতে হবে?
যদিও লিভারের নিজেকে নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে, তবে এটি তখনই সম্ভব যখন অ্যালকোহলের মতো বিষাক্ত পদার্থ এড়ানো যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনাকে সেই লক্ষণগুলি সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছি, যা সময়মতো শনাক্ত করে মারাত্মক লিভারের রোগ থেকে বাঁচা যায়।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি 'হ্যাঁ' হয় তাহলে আপনি বেশি মদ পান করছেন
আপনি যদি খুব বেশি অ্যালকোহল পান করছেন কিনা তা জানতে চান তবে এর জন্য নিজেকে এই ৪ টি প্রশ্ন করুন। এগুলোর যেকোনো একটির উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনাকে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
১. আপনি কি কখনও অনুভব করেছেন যে আপনার মদ্যপান হ্রাস করা উচিত?
২. লোকেরা কি আপনার মদ্যপানের অভ্যাসের সমালোচনা করে?
৩. আপনি কি কখনও মদ্যপান সম্পর্কে খারাপ অনুভব করেছেন?
৪. আপনার হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতে সকালে উঠেই প্রথমে অ্যালকোহল পান করেছেন?
এই পরিমাণের পরে অ্যালকোহল বিষ হয়ে যায়
NHS অনুসারে, আপনি যদি সপ্তাহে ১৪ ইউনিটের বেশি অ্যালকোহল পান করেন তবে এটি আপনার লিভার এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
এই ৬টি লক্ষণ দেখা মাত্রই অ্যালকোহল ছেড়ে দিন
পেট ব্যথা
ক্লান্তি
বমি বমি ভাব
ডায়রিয়া
ক্ষুধামান্দ্য
অকারণে অসুস্থ বোধ করা
অ্যালকোহলের কারণে লিভার পচার এই লক্ষণগুলি দেখা যায়
ত্বকের হলুদ ভাব এবং চোখের সাদা
পা, গোড়ালি ফুলে যাওয়া
পেট ফুলে যাওয়া
জ্বর
চামড়ায় চুলকানি
চুল পরা
আঙ্গুল এবং নখ বেঁকে যাওয়া
দাগযুক্ত লাল হাতের তালু
ওজন কমা
দুর্বলতা
ঘুমের সমস্যা
রক্ত বমি করা
মল দীর্ঘ সময়ে আটকে থাকা
ঘন ঘন নাক দিয়ে রক্ত পড়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত
প্রতিদিন মদ্যপানের ফলে এই রোগ হয়
নিয়মিত মদ্যপান অকাল মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো। কারণ এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের ক্ষতির পাশাপাশি লিভারের রোগের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরো বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।