জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সুখ পেতে হলে শুধুমাত্র চন্দ্রের কাছ থেকেই তা পেতে হবে। এ ছাড়া সুখের জন্য শুক্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুন্ডলীতে সমস্ত গ্রহ এবং সমস্ত ভাব আলাদা আলাদাভাবে সুখের জন্য দেখা হয়। হস্তরেখাতে, হাতের রং থেকে সুখ-স্থিতি দেখা হয়। এ ছাড়া আপনার মস্তকে সুখের বিষয়ে লেখা থাকে।
স্বাস্থ্যের সুখ
এ জন্য কুন্ডলিতে চন্দ্রের লগ্ন অধিপতি দায়ী থাকে।
চন্দ্র মজবুত হলে ব্যক্তির স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
যদি চন্দ্র কমজোর হয়, কিন্তু বৃহস্পতি ভাল হয়, তাহলেও স্বাস্থ্যও ভাল ফল দিতে পারে।
রাহু যদি খারাপ হয়, বেশি স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দেয়, ভাল স্বাস্থ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেক সময়ে স্বাস্থ্য খারাপের ভ্রম তৈরি হয়।
শনির কারণে স্বাস্থ্যজনিত স্বাচ্ছন্দ লম্বা সময় পর্যন্ত পেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
স্বাস্থ্যের সুখ পাওয়ার উপায়
সোমবার উপবাস করুন
শিবের আরাধনা করুন।
প্রত্যেক শনিবার অন্ন কিংবা ভোজন দান করুন।
আপনার কুণ্ডলি অধিপতির রত্ন ধারণ করুন।
মাতা পিতাকে নিত্য প্রাতঃ চরণ স্পর্শ করুন।
চাকরি এবং রোজগারের সুখ
চাকরি এবং রোজগারের সুখ যদি পেতে চান তাহলে তা শনি থেকে পাওয়া যায় অথবা বৃহস্পতি থেকে।
দুটোর মধ্যে যে কোনও একটি যদি মজবুত হয়, তাহলে রোজগারের সমস্যা থাকে না।
যদি দুটোই কমজোর হয় তাহলে রোজগারের জন্য ঠোক্কর খেতে হয়।
যদি শনি খারাপ থাকে চাকরি পাওয়া যায় না, পেলেও চাকরি চলে যায় স্থিরতা থাকে না।
বৃহস্পতি খারাপ হলে রোজগারের জন্য ব্যক্তিকে নিজের ক্ষতি স্বীকার করতে হয়।
চাকরি এবং রোজগারের সুখ পেতে হলে
সন্ধ্যায় শনি মন্ত্র জপ করুন।
মাথায় সাদা চন্দনের তিলক লাগান।
একটা লোহার আংটি মধ্যমা আঙ্গুল ধারণ করুন আঙুলে ধারণ করুন।
রান্নাঘরে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
শনিবার কালো ছোলা অবশ্যই খান।
বিবাহ এবং বৈবাহিক জীবনের সুখ
বিবাহ এবং বৈবাহিক জীবন মহিলাদের বিবাহ সুখের জন্য বৃহস্পতি দায়ী।
পুরুষদের বৈবাহিক সুখের জন্য চন্দ্র এবং শুক্র দায়ী।
সব মিলিয়ে বৈবাহিক সুখ শুক্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।
বৈবাহিক সবচেয়ে বেশি বাধা শুক্র ও মঙ্গল খারাপ হলে হয়।
এ ছাড়া বৃহস্পতি যদি খারাপ হয় তাহলে বিয়েই হয় না।
বৈবাহিক সুখের উপায়
প্রাতঃকালে সূর্যকে হলুদ মিলিয়ে জল দান করুন।
প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করুন।
কলার থোড়, হলুদ সুতো জড়িয়ে গলায় ধারণ করুন।
ঘরের দরজায় বৃহস্পতিবার হলুদ দিয়ে স্বস্তিক বানিয়ে লাগান।
যতটা হতে পারে ঘরে শুক্রবার চালের পায়েস বানিয়ে খান।