Kochu- Taro Benefits: হার্ট থেকে ডায়বেটিসের রোগে জাদুকরী কচু! জানুন কী কী উপকারিতা

Kochu Health Benefits: স্থলভূমি ও জলভুমি উভয়রূপ স্থানে কচু জন্মাতে পারে। তবে স্থলভাগে জন্মানো কচুর সংখ্যাই বেশি। প্রজাতিভেদে কচুর মুল, শিকড় বা লতি, পাতা ও ডাটা সবই মানুষের খাদ্য। কচুর বহু আয়ূর্বেদীয় গুণ আছে।

Advertisement
হার্ট থেকে ডায়বেটিসের রোগে জাদুকরী কচু! জানুন কী কী উপকারিতা কচুর উপকারিতা (ছবি: গেটি ইমেজেস)

কচু একধরনের কন্দ জাতীয় উদ্ভিদ। মানুষের চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলির মধ্যে একটি হল কচু। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি কচু দেখতে পাওয়া যায়। তবে পূর্ববঙ্গীয়দের মধ্যে কচুর বিভিন্ন পদ খাওয়ার চল বেশি। 

স্থলভূমি ও জলভুমি উভয়রূপ স্থানে কচু জন্মাতে পারে। তবে স্থলভাগে জন্মানো কচুর সংখ্যাই বেশি। প্রজাতিভেদে কচুর মুল, শিকড় বা লতি, পাতা ও ডাটা সবই মানুষের খাদ্য। কচুর বহু আয়ূর্বেদীয় গুণ আছে। জানুন কচুর নানা উপকারিতা।

 

health benefits of taro kochu

* কচু একটি স্টার্চযুক্ত সবজি। এটি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের দারুণ উৎস। 

* কচু শাক লো-ক্যালোরি, হাই ফাইবার খাবার। খাদ্যতালিকায় কচু রাখলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরানোর সম্ভব। দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে কচু। ফলে খিদে কম পায়। 

* রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায় কচু। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েটে কচু যোগ করলে, উপকার মিলবে। এই সবজি, রক্তের গ্লাইসেমিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।  

 

health benefits of taro kochu

* কচু অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কচু ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল দূর করতে সাহায্য করে।

* কচু ফাইবার, পটাসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। 

* হৃদপিণ্ড এবং হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ক্যান্সার প্রতিরোধ, দৃষ্টি শক্তির উন্নতি সহ আরও অনেক উপকার হয় কচু খেলে। 

* কচুতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

 

health benefits of taro kochu

কচু খেলে অনেকেরই গলা চুলকায়। কচুতে থাকা র‌্যাফাইড বা ক্যালসিয়াম অক্সালেট যা, গলায় আটকে যায় আর তখনই গলা চুলকায়। তাই খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হয়। এছাড়া কোনও কিছুই অত্যাধিক পরিমাণে খাওয়ায় ভাল না। তাই কতটা খেলে ক্ষতি হবে না বা কারা খাবেন না, ইত্যাদি জানতে পরামর্শ নিন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement