Herbal Tea: কলকাতার এই চায়ের দোকানে এলে চমকে যেতে হবে। কত রকমের যে চা পাওয়া যায়! আর দাম? সেখানে বিস্তর বৈচিত্র! কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবেন বলা মুশকিল।
মুকুন্দপুরের ধারে
মুকুন্দপুরে রাস্তার ধারে রয়েছে সাদামাটা চায়ের দোকান 'নির্যাস'। সেখানে যেন থরে থরে সাজানো রয়েছে মণিমুক্তো। একশো রকমের চা পাওয়া যায়। রয়েছে ওষধি গুণসম্পন্ন চা।
এক কাপ চায়ের দাম হাজার টাকা
শুনলে অবিশ্বাস্য লাগতে পারে। তবে এটা সত্যি। এক কাপ চা খেতে পকেট থেকে খসবে কড়কড়ে এক হাজার টাকা। দোকানি পার্থপ্রতিম গঙ্গোপাধ্যায় দেখান মহার্ঘ্য সেই জিনিসটি। সাদা জাপানি চা তুলে আনলেন তিনি। যার বাজার মূল্য এক লক্ষ চাকা প্রতি কেজি। আর এই চায়ের এক কাপের দাম এক হাজার টাকা।
তিনি জানান, এর ব্যাপারে বিশেষ কেউ জানেন না। সাদা জাপানি চায়ের এক কাপের দাম এক হাজার টাকা। আর তাই এর চাহিদাও যেন বেশ কম। বাছাই করা কয়েকজন ক্রেতাই এই চা খান।
ওষধি গুণ
তিনি আরও জানান, বেশ কিছু গাছগাছড়া এবং লতাপাতা রয়েছে, যার ওষধি ঘুণ রয়েছে। সেগুলি বিভিন্ন রোগ সারাতে সক্ষম। আর তারপর তিনি তারই কয়েকটি দেখান। আর দাবি করেন, এগুলি সবই ওষধি গুণসম্পন্ন।
বিষ থেকে বাঁচতে
পোকামাকড়ের কামড় থেকে বাঁচাতে কাজে আসতে পারে বিষলতা। জানাচ্ছেন তিনি। সাপ, কাঁকড়াবিছের কামড় খাওয়ার পর চিকিৎসার কাজে লাগানো হয় তা। এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীর কামড় খাওয়ার পর চিকিৎসায় কাজে লাগে সেগুলি। দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যবহার হয়ে আসছে।
আরও আছে
সেখানে যেমন রয়েছে বিষলতা, তেমনই রয়েছে উলং, মিসৌরি। এর পর তিনি মলিস চায়ের গুণাগুনের কথা জানান।
তিনি জানান, মলিস জ্বালাপোড়ায় কাজে লাগে। এ ছাড়া ক্ষত, চামড়ার রোগ, বাতের ব্যথায় কাজে লাগে। পাতা জ্বালিয়ে তার ধোঁয়া শ্বাসকষ্টের উপশমে কাজে লাগে। ব্রঙ্কাইটিস সারাতেও বেশ কার্যকর এটি। শ্বসন তন্ত্রের মিউকাস মেমব্রেনের অসুখে সারাতেও এর ভূমিকা রয়েছে।