পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম আচার্য চাণক্য। আজও তাঁর প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা প্রশংসিত। জীবন সম্পর্কে তাঁর কথা 'চাণক্য নীতি' নামে খ্যাত। আচার্য চাণক্য নিজের নীতিশাস্ত্রে জীবনের প্রতিটি দিক সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর এই নীতি শুধু তরুণদের পথ দেখায় না, মানুষের জীবনকেও উন্নত করে। আচার্য চাণক্য ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের রাস্তায় পৌঁছতে দিয়েছেন ৪ টিপস। জেনে নিন সেগুলি
চাণক্য তাঁর নীতিতে বলেছেন যে একজন ব্যক্তির সবসময় সময়ের আগে এবং সময়ের পরে কোনও কাজ করা উচিত নয়। এ কারণে জীবনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আচার্য চাণক্য কোনও কাজ শুরু করার আগে একজন ব্যক্তিকে আত্মসমীক্ষার পরামর্শও দিয়েছেন। কারণ কাজের জন্য যে ব্যক্তি যোগ্য কিনা বা কতটা প্রস্তুতি তাঁর দরকার, সে নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না। একজন মানুষ যদি কয়েকটি কথা মাথায় রাখে তাহলে সফল হওয়া থেকে তাঁকে কেউ আটকাতে পারবে না।
সময়জ্ঞান- যে কোনও কাজ করার আগে সবসময় সময় বিবেচনা করা উচিত। সময়মতো কাজ না করলে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হবে। তাই যে কোনও কাজ করার আগে সঠিক সময় বেছে নিন। কারণ সাফল্য প্রাপ্তির জন্য সময় বড় ভূমিকা পালন করে। সঠিক সময়ে কাজ করলে সাফল্য আসতে বাধ্য।
প্রকৃত বন্ধু- জীবনে সব সম্পর্কেরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। সম্পর্ক একজন ব্যক্তিকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে। চাণক্যের নীতি অনুসারে, জীবনে সাফল্য পেতে হলে প্রকৃত বন্ধুর সঙ্গ থাকা প্রয়োজন। সত্যিকারের বন্ধুর সাহায্যে আপনি সহজেই সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন। তাই সত্যিকারের বন্ধুদের চিহ্নিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আয় এবং ব্যয়- সাফল্য পেতে গেলে আয় এবং ব্যয়ের ভারসাম্য রাখা জরুরি। আপনার আয় বেশি না হলে খরচ কমিয়ে দিন। অন্যথায় আপনার আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। একজন ব্যক্তির সর্বদা তার আয়-ব্যয়ের কথা বিবেচনা করা উচিত।
শেখা চালিয়ে যাওয়া- আচার্য চাণক্যের মতে, কোনও ব্যক্তির জীবনে কখন শেখাও ইচ্ছা ত্যাগ করা উচিত নয়। জীবনে এগিয়ে যেতে হলে আজীবন জ্ঞানার্জন প্রয়োজন। তাই ভালো কিছু করতে গেলে অবশ্যই শিখতে হবে।
কঠিন পরিশ্রম- সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর জন্য পরিশ্রম ছাড়া গতি নেই। আচার্য চাণক্যের মতে, কোনও ব্যক্তির কখনও অন্যের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেকেই পরিশ্রম করা উচিত।