রাজ্যে আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির (Thunderstorms) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা-সহ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয় এই সময়। এছাড়াও বাজ (Lightning Strike) পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এই সময় বজ্রপাত অর্থাৎ বজ্রপাতের ঘটনাও বেড়ে যায়। প্রতি বছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ ও গবাদি পশু মারা যায়। তাই এই সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে।
ঝড় ও বজ্রপাতের সময় কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সে বিষয়ে এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। ঝড় ও বজ্রপাতের ক্ষেত্রে নিরাপদে থাকতে প্রথমে সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত বাড়ি বা অন্য কোনও স্থানে ঢুকে যেতে হবে। আশেপাশে কোনও বিল্ডিং না থাকলে গাড়ির ভেতরেই বসে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: Diabetes Control Home Remedies: শুধু ওষুধই নয়, সুগার কন্ট্রোলে রাখতে এই ঘরোয়া উপায়গুলিও কাজ দেয়
কীভাবে বজ্রপাত এড়ানো যায় (How to be safe from lightning)
কী করবেন না
জরুরি অবস্থায় কী করবেন?
সতর্কতা অবলম্বন করার পরও যদি কেউ বজ্রপাতে আক্রান্ত হন, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করুন। প্রাথমিক চিকিৎসায় তাঁকে সিপিআর-এর মতো চিকিৎসা দেওয়ার পর অবিলম্বে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
বাজ কেন পড়ে (What Is Lightning)?
গরমকালে জল বাষ্পীভূত হয় এবং উবে যায়। যখন জল বাষ্পের আকারে উপরে ওঠে, তখন প্রতি ১৬৫ মিটার উচ্চতার জন্য তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। জল উপরে উঠার পর জমতে শুরু করে। বরফের টুকরোগুলো যখন একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু করে, তখন তাদের মধ্যে ঘর্ষণ তৈরি হয়। এই ঘর্ষণ কারণে স্ট্রেট কারেন্ট তৈরি হয়। কারেন্টের ধনাত্মক চার্জ উপরে যায় এবং ঋণাত্মক চার্জ নেমে আসে। এখন এই ঋণাত্মক চার্জ ধনাত্মক খুঁজতে শুরু করে এবং মাটিতে ধনাত্মক চার্জ দেখার সঙ্গে সঙ্গে নীচে নেমে আসে ও সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনাকে বলা হয় বজ্রপাত বা বাজ পড়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিদ্যুতের ভোল্টেজ এত বেশি যে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।