
অষ্টমীতে বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতেই নিরামিষ রান্না হয়। আর সেই দুঃখ সামাল দেয় নবমী। এ দিন আবার সিংহভাগ হেঁশেলে রান্না হয় পাঁঠার মাংস।
তবে নবমীর দুপুরে আর গতানুগতিক মাটনের ঝোল খেতে মন চাইবে না। তখন 'দিল মাঙ্গে সামথিং এলস'। তাই এ দিন একটু অন্য ভাবে হোক পাঁঠার মাংসের প্রিপারেশন। সেক্ষেত্রে রান্না করে নিতেই পারেন পোস্ত মাটন। এই রেসিপিটি খেতে দারুণ। পাশাপাশি এটি অভিনবও বটে।
আসুন ঝটপট এটি রাঁধার কৌশল জেনে নেওয়া যাক-
উপকরণ
মোটামুটি ৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন
২ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা লাগবে
পেঁয়াজ বাটা নিয়ে নিন ২ চামচ
আদা ও রসুনের বাটা লাগবে ১ টেবিল চামচের মতো
হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো নিন প্রয়োজন মতো
স্বাদ মতো নুন ব্যবহার করুন
সর্ষের তেলও নিন যতটা দরকার
ম্যারিনেট করতে হবে
ধরতক্তা মার পেরেক করে এই রান্না করা যাবে না। বরং তার আগে মাংসটাকে ভালো করে ম্যারিনেট করতে হবে। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন বাটা, পোস্ট বাটার সঙ্গে জিরে, হলুদ, লঙ্কা ও প্রয়োজন মতো নুন মিশিয়ে মাংসের গায়ে মাখিয়ে নিন। দেখবেন যেন ঠিক ঠাক মাখানো হয়। এই অবস্থায় মাংসটাকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তাতেই রান্নার স্বাদ বাড়বে।
রান্না করবেন কী ভাবে?
প্রথমে একটা কড়াইতে প্রয়োজন মতো তেল দিন। তেলটা গরম করুন। সেটা গরম হয়ে গেলে ম্যারিনেট করা মাংস কড়াইতে দিন। তার পর ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ না মাংস থেকে জল ছাড়ে, ততক্ষণ নাড়তে হবে। তাতে দেখবেন মাংসের তেল উপরের দিকে চলে আসবে।
এই অবস্থায় সামান্য গরম জল মাংসে দিন। তার পর কমিয়ে দিন আঁচ। ঢাকা দিয়ে দিন মাংস। এ ভাবে মাংসটা ভালো মতো সিদ্ধ হয়ে যাবে। এমনকী তার গ্রেভিও ঘন হয়ে আসবে।
সবশেষে দেখে নিন মাংসটা সিদ্ধ হয়েছে কি না। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল মাটন পোস্ত। এ বার শুরু পরিবেশনের পালা। গরম গরম ভাত বা লুচির সঙ্গে দারুণ হবে বিষয়টা। আশা করছি, আপনার হাতের জাদুতে তৈরি এই পদ খেয়ে বাড়ির সকলেই খুশি হয়ে যাবেন।