Male Birth Control Pill: পুরুষদেরও গর্ভনিরোধক পিল শীঘ্রই, ট্রায়ালে সফল, কবে থেকে বাজারে?

পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ, বিজ্ঞানীরা এবার পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি তৈরি করেছেন। YCT‑529 নামের এই বড়িটি ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত কমিউনিকেশনস মেডিসিন জার্নালের তথ্য অনুযায়ী পরীক্ষায় সফল হয়েছে।

Advertisement
পুরুষদেরও গর্ভনিরোধক পিল শীঘ্রই, ট্রায়ালে সফল, কবে থেকে বাজারে?
হাইলাইটস
  • পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ, বিজ্ঞানীরা এবার পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি তৈরি করেছেন।
  • YCT‑529 নামের এই বড়িটি ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত কমিউনিকেশনস মেডিসিন জার্নালের তথ্য অনুযায়ী পরীক্ষায় সফল হয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ, বিজ্ঞানীরা এবার পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি তৈরি করেছেন। YCT‑529 নামের এই বড়িটি ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত কমিউনিকেশনস মেডিসিন জার্নালের তথ্য অনুযায়ী পরীক্ষায় সফল হয়েছে।

এটি হরমোন‑মুক্ত একটি বড়ি, যা পুরুষদেহে শুক্রাণু গঠনের প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। পরীক্ষার সময় দেখা গেছে, বড়িটি শরীরে সঠিক মাত্রায় পৌঁছায় এবং বড় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। মেজাজ, ওজন বা যৌন স্বাস্থ্যের ওপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

এখন পর্যন্ত পুরুষদের বিকল্প
পুরুষদের জন্য এতদিন দুটি গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ছিল, কনডম, যা প্রতিবার ব্যবহার করতে হয়, এবং ভ্যাসেকটমি, যা স্থায়ী এবং ফিরিয়ে আনা কঠিন। নয়া ওষুধে সেসবের ঝামেলা নেই। 

কীভাবে কাজ করে YCT‑529
আমাদের শরীরে ‘রেটিনোইক অ্যাসিড রিসেপ্টর আলফা’ নামে একটি প্রোটিন থাকে, যা ভিটামিন‑এ‑র প্রভাবে শুক্রাণু তৈরিতে সাহায্য করে। YCT‑529 এই প্রোটিনের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন সাময়িকভাবে থেমে যায়। বড়িটি বন্ধ করার চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে পুরুষদের উর্বরতা ফিরে আসে।

মানব পরীক্ষার ফলাফল
প্রথম ধাপে ১৬ জনের ওপর পরীক্ষা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ খালি পেটে, কেউ খাবারের পর এই বড়ি খান। ৯০ মিলিগ্রাম ও ১৮০ মিলিগ্রাম, দুটি মাত্রা পরীক্ষা করা হয় এবং দেখা যায় ১৮০ মিলিগ্রাম সবচেয়ে কার্যকর। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সবাই ছিলেন ভ্যাসেকটমি করা পুরুষ, যাতে দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি না থাকে।

পরবর্তী ধাপ ও সম্ভাবনা
এখন আরও বড় পরীক্ষা চলছে, ২৮ দিন এবং ৯০ দিনের জন্য বড়ি খেলে শুক্রাণুর সংখ্যা কতটা কমে, সেটি দেখা হবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই বড়িটি বাজারে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের মতো দেশে গুরুত্ব
ভারতে জন্মনিয়ন্ত্রণের বোঝা প্রধানত মহিলাদের ওপর পড়ে। এই বড়ি পুরুষদের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার সুযোগ দেবে এবং পরিবার পরিকল্পনার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement