Male Fertility Booster: মহিলাদের পাশাপাশি এখন পুরুষদের মধ্যেও বাড়ছে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা। পুরুষের বন্ধ্যাত্বের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস। টাইট ফিট জিন্স, হাই হিল পরার অভ্যাস মহিলাদের অসুস্থ এবং বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি, মদ্যপান, ধূমপান, দীর্ঘদিন রাত জাগার অভ্যাস, আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরা ইত্যাদি পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
হিউম্যান রিপ্রোডাকশন আপডেট নামের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ভারত সহ সর্বত্র পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গবেষণাটি এশিয়া, আফ্রিকার এবং দক্ষিণ আমেরিকার পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যাগত পরিবর্তনের সংগৃহিত তথ্যের উপর নির্ভর করে চালিত হয়েছিল।
ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ২০০০ সাল থেকে এই তিন মহাদেশে শুক্রাণুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৪৬ বছরে এশিয়া, আফ্রিকার এবং দক্ষিণ আমেরিকার পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তাই পুরুষদের জন্য (বিশেষ করে যারা সন্তান চাইছেন) ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য, ভিটামিন এবং অন্যান্য জীবনধারা পছন্দের সমন্বয় চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতিশীলতা বাড়াতে আদাও অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
আদা সাধারণত সব বাড়িতেই ব্যবহৃত হয়। আদার আদা আমাদের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এটি আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আদা বাটা মৌসুমি রোগ থেকে মুক্তি দেয়। শীতে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হলে এর থেকে মুক্তি পেতে বেশিরভাগ মানুষই আদা চা পান করেন এবং উপকৃত হন। আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের জন্য আদা একটি ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত। আদা শরীরের ক্রমবর্ধমান মেদ কমিয়ে স্থূলতা থেকে মুক্তি দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌন সমস্যায় ভুগছেন এমন পুরুষদের জন্য আদা একটি কার্যকর প্রতিকার হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আদা পুরুষদের উর্বরতা সমস্যার জন্য একটি ওষুধের মতো কাজ করে। শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকার সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের আদা খাওয়া উচিত। এর প্রভাবে শরীরের তাপমাত্রা আংশিক বৃদ্ধি পায় যা শুক্রাণু উৎপাদনে সহায়ক। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য উপাদান শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। দুর্বল কর্মক্ষমতা এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের বিরুদ্ধেও আদা খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।