Mango For Weight Loss: আম খেয়েও ওজন কমানো যায়, জেনে নিন খাওয়ার সঠিক উপায়

Mango For Weight Loss: গরমে আম খেতে প্রায় সবাই পছন্দ করে। দেখতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আমে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রায়শই লোকেরা মনে করে যে আম খেলে ওজন বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে ও সঠিক উপায়ে আম খাওয়া খুবই জরুরি।

Advertisement
 আম খেয়েও ওজন কমানো যায়, জেনে নিন খাওয়ার সঠিক উপায় আম খেয়েও কমবে ওজন!

Mango For Weight Loss: বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে। আমকে ফলের রাজা বলা হয়, কারণ স্বাদে ভালো হওয়ার পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। প্রায়শই মানুষ আম সম্পর্কে ভাবেন যে এটি খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল। সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে আম খাওয়া হলে তা খেলে ওজন বৃদ্ধি রোধ করা যায়। আমে রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও মিনারেল। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও এটি উপকারী। এক কাপ কাটা আমে থাকে ৯৯ ক্যালরি, ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২২.৫ গ্রাম সুগার, ২.৬ গ্রাম ফাইবার, ৬৭ % ভিটামিন সি, ১৮% ফোলেট, ১০% ভিটামিন এ এবং ১০% ভিটামিন ই। এ ছাড়া এতে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম কিছু পরিমাণে রয়েছে।

আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স- রক্তে শর্করার উপর কোন খাবারের প্রভাব গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) র‌্যাঙ্কের মাধ্যমে জানা যায়। এটি ০-১০০ এর স্কেলে পরিমাপ করা হয়। ৫৫-এর কম র‍্যাঙ্কের যে কোনও খাবারকে এই স্কেলে কম চিনি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই খাবারগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। আমের জিআই র‍্যাঙ্ক ৫১, যার মানে ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি খেতে পারেন। ,

ওজন কমাতে কীভাবে আম খাবেন- 
খাওয়া কমিয়ে দিন- আম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফাইবারে পূর্ণ, আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করলেও সেগুলো খেতে পারেন, কিন্তু সীমিত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাত্রাতিরিক্ত আম খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। 

খাওয়ার পর খাবেন না- খাওয়ার পর কখনই আম খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর ফলে আপনার শরীরে ক্যালরি বেশি হতে পারে। সব সময় দুপুরে  আম খান। আপনি চাইলে স্ন্যাক্স হিসেবেও আম খেতে পারেন।

জলখাবার হিসাবে খান- আপনি যদি জলখাবার হিসাবে এক বাটি আম খান তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আমে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এছাড়া আম এনার্জি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে। প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার হিসেবে আম খাওয়া উপকারী মনে করা হয়। 

Advertisement

পুরোটা সেবন করুন-  জুস বা ম্যাঙ্গো শেক বানানোর বদলে আম সাধারণ ভাবে খান। জুস তৈরি করলে আমের সমস্ত ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়।

 
 

 

 

POST A COMMENT
Advertisement