Measles Outbreak: দেশে বাড়ছে হামের প্রাদুর্ভাব, সংক্রামক এই রোগের উপসর্গ কী কী?

গত কয়েক মাসে দেশে হামের প্রাদুর্ভাবের (Measles Outbreak) কারণে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। অত্যন্ত সংক্রামক রোগ (Highly Contagious Disease) হাম একটি ভাইরাসের (Virus) কারণে হয়, যা সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। হাম শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। একে রুবেওলাও বলা হয়। হাম হলে জ্বর আসে এবং গায়ে লাল ফুসকুড়ি দেখা যায়। এগুলিই এই রোগের সাধারণ উপসর্গ।

হাম কী (What Is Measles)?

হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক সংক্রমণ, যা শ্বাসযন্ত্রে শুরু হয়। হাম শুধুমাত্র টিকা দ্বারা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। হাম বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে আজও রয়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১,১০,০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল হামে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ৫ বছরের কম বয়সি শিশু।

হামের ভাইরাসটি প্যারামাইক্সোভাইরাস পরিবারের, যা প্রথমে শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং তারপর রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতে হামের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অত্যন্ত সংক্রামক রোগ হওয়ার কারণে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ থাকে।

হামের উপসর্গগুলি কী কী (Symptoms Of Measles) ?

জ্বর হল হামের প্রথম উপসর্গ। এটি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় ১০-১২ দিন পরে শুরু হয়। তারপর ৪-৭ দিন স্থায়ী হয়। একজন ব্যক্তির কাশি, সর্দি, চোখ লাল, গলা ব্যথা এবং মুখের ভিতরে সাদা দাগ হতে পারে। হামের আরেকটি উপসর্গ হল ত্বকের ফুসকুড়ি, যা ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ফুসকুড়ি সাধারণত মাথায় দেখা যায় এবং ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

টিকা না দেওয়া শিশুদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গর্ভবতী মহিলারাও এই সংক্রমণে ভুগতে পারেন। কম ওজনের শিশুরাও এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং ভিটামিন এ কম। সংক্রামিত প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার পরে চার দিনের জন্য আলাদা রাখা উচিত।

হামের ভ্যাকসিন (Vaccine for Measles): হাম রোগ প্রতিরোধ করার জন্য একটি ভ্যাকসিন আছে। হাম এবং রুবেলা নির্মূল করার জন্য ভারত ২০১৭ সালে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি সকলকে টিকা দেওয়া শুরু করে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ হাম একেবারে নির্মূল করার জন্য সরকার একটি জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই মারাত্মক রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১৬ মার্চ  হামের টিকা দিবস পালন করা হয়। হামের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই, তবে হামের টিকা রয়েছে যা নিরাপদ ও সস্তা। যে সমস্ত বাচ্চাদের হামের টিকা দেওয়া হয়নি তাদের মধ্যে হামের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুও হতে পারে।