পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে ঠান্ডা, কাশি ও অন্যান্য সংক্রমণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে খেজুর হতে পারে অন্যতম প্রাকৃতিক সমাধান। পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর শুধু স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় না, বরং এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও কার্যকর। বিশেষ করে, খেজুরের দুধ একটি আদর্শ পানীয়, যা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় ও শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
খেজুর ও খেজুরের দুধের উপকারিতা
১. পুষ্টির আধার: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, খনিজ পদার্থ, ফসফরাস ও ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।
তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস: খেজুরে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ থাকে, যা শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
হজমে সহায়ক: খেজুরের উচ্চমাত্রার খাদ্যতালিকাগত ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা দূর করতে সহায়ক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এতে উপস্থিত পটাসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন বি৬ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: খেজুর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।
ঠান্ডা-কাশির ঘরোয়া প্রতিকার: গরম দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
হাড়ের শক্তি বাড়ায়: এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
নার্ভের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেলে স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং মানসিক চাপ কমে।
ঘুমের সমস্যা দূর করে: খেজুরের দুধ পান করলে এতে উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি: খেজুর ও দুধের মিশ্রণে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
খেজুরের দুধ তৈরির পদ্ধতি
যা যা লাগবে:
২ কাপ দুধ
আধা কাপ খেজুর
দেড় চা চামচ বাদাম (পছন্দমতো)
আধ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে খেজুর দুধে ভিজিয়ে রাখুন।
২. এরপর খেজুরগুলো ভালো করে পিষে নিন।
৩. একটি পাত্রে দুধ গরম করে তাতে খেজুরের মিশ্রণ দিন।
৪. বাদাম ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন।
৫. ভালোভাবে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।