
Miss Universe 2025: মিস ইউনিভার্স ২০২৫ খেতাব জয়ের পর থেকেই তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ। প্রতিযোগিতার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই তিনি আলোচনার কেন্দ্রে। থাইল্যান্ডের মিস ইউনিভার্স ন্যাশনাল ডিরেক্টর নবত ইত্সারাগ্রিসিল এক সরাসরি অনুষ্ঠানে তাঁকে ‘dumbhead’ বলে অপমান করেন, কারণ ফাতিমা নাকি এক প্রচারমূলক শুটে অংশ নেননি। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ফাতিমা-সহ বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান। সেই দৃশ্য মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে।
ঘটনার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ফাতিমার প্রতি সহানুভূতির ঢল নামে ঠিকই, কিন্তু মুকুট পাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। অনেকেই বলতে শুরু করেন, তাঁর জয় নাকি প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, বরং সহানুভূতি এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি বাঁচানোর কৌশল। নেটিজেনদের একাংশ সরাসরি লেখেন, এ জয় ‘ফিক্সড’, ‘ব্যবসায়ী সিদ্ধান্ত’, ‘রিগড’। এমনকি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ হিসেবেও ফাতিমাকে বিজয়ী করা হয়েছে বলে দাবি ওঠে।
তবে সমালোচনার বিপরীতে সমর্থকেরাও রীতিমতো সরব। তাঁরা মনে করেন, অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করে ফাতিমা অনেক সাহস দেখিয়েছেন। মঞ্চে তাঁর আত্মবিশ্বাস ও উপস্থিত বুদ্ধিও প্রশংসার দাবিদার। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবামও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ফাতিমা মর্যাদা বজায় রেখে অবিচারের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলেছেনএটা, ই তাঁর বড় শক্তি।
প্রতিযোগিতার শেষ পর্যায়েও নতুন বিতর্ক শুরু হয়। ফাইনালের আগেই দু’জন বিচারক পদত্যাগ করেন। একজন অভিযোগ করেন, প্রতিযোগিতায় নাকি গোপনে কারচুপি চলছে। অন্যজন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান। মিস ইউনিভার্স সংগঠন অবশ্য এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানায়, বিচার প্রক্রিয়ায় কোনওরকম অযাচিত হস্তক্ষেপ হয়নি।
বিতর্ক যতই থাকুক, ফাতিমা বোশ বছরভর মিস ইউনিভার্সের দায়িত্বে থাকবেন। সৌন্দর্যের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন, নারীর অধিকার এবং সামাজিক উদ্যোগে তাঁর কাজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু ২০২৫ সালের মুকুট জয় তাঁকে যেমন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে, তেমনই তৈরি করেছে তীব্র মতবিরোধের আবহ। যা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার জগতের বাস্তবতা আবার সামনে এনে দিয়েছে।