Buttermilk Ghol Mistakes: ঘোলে নুন মেশান না তো? ক্ষতির সম্ভাবনা, রইল সঠিক রেসিপি

Buttermilk Ghol Mistakes: বাটারমিল্ক বা ঘোল একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, যা গ্রীষ্মে অনেক উপকার দেয়। কিন্তু এতে নুন যোগ করে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাটার মিল্কের সঙ্গে কী মিশিয়ে পান করা উচিত?

Advertisement
ঘোলে নুন মেশান না তো? ক্ষতির সম্ভাবনা, রইল সঠিক রেসিপিButtermilk Mistakes: ঘোলে নুন মেশালে ভুল, পেটের বড় ক্ষতি হবে

How To Drink Buttermilk/Ghol: গরমে বাটার মিল্ক বা ঘোল বা লস্যি খাওয়ার মজাই আলাদা। এই পানীয়টি যেমন পেটের জন্য খুবই উপকারী, তেমনি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। ভারতের অনেক জায়গায় এটি গরমের সময় জনপ্রিয় পানীয়। বেশির ভাগ মানুষই নুন মিশিয়ে ঘোল খেতে পছন্দ করে, কিন্তু এটা একটা বড় ভুল।

ঘোল পানের উপকারিতা কী ? 
এই পানীয় দই থেকে তৈরি করা হয়। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন এবং প্রোবায়োটিক রয়েছে। এই সমস্ত জিনিস এনার্জি, স্বাস্থ্যকর পেট এবং অন্ত্র, শক্তিশালী হাড়  প্রদান করে।

ঘোল পান করার সঠিক উপায়

পুষ্টিবিদদের  মতে, নুন মিশিয়ে ঘোল  পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর খারাপ প্রভাব সরাসরি পেটে পড়ে। তাই নুনেপ পরিবর্তে ঘোলে অন্য জিনিস মিশিয়ে মিশিয়ে পান করতে হবে।

 


ঘোলে  স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে
ঘোলের  ভিতরে অনেকগুলি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয় । এগুলোকে প্রোবায়োটিক বলা হয়। কিন্তু এই পানীয়তে নুন যোগ করলে প্রোবায়োটিকের প্রভাব কমে যায় এবং পরিমাণ কমতে থাকে।

এভাবেই নুন প্রোবায়োটিককে মেরে ফেলে
পুষ্টিবিদদের মতে, নুন যোগ করা কিছু স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার জন্য বিপজ্জনক পরিবেশ তৈরি করে, যার কারণে প্রোবায়োটিকগুলি নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করে এবং এমনকি মারাও যেতে পারে। এটি শরীরের কোষগুলিকে ডিহাইড্রেট করতেও কাজ করে ।

 

 

গবেষণায় দাবি করা হয়েছে
গবেষণার দেখা গেছে  যে স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাস (Streptococcus Thermophilus) নামের একটি ব্যাকটেরিয়া যেখানে সোডিয়ামের ঘনত্ব ২ শতাংশের বেশি সেখানে টিকে থাকতে পারে না।

ঘোলের সঙ্গে  কী মেশাতে হবে? 
জিরা গুঁড়ো
শুকনো পুদিনা পাতার গুঁড়ো
ধনে পাতা

 

 

পেটের মারাত্মক ক্ষতি হবে
যখন অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, তখন অন্ত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে আপনার গ্যাস, পেট ফাঁপা, হঠাৎ ওজনের পরিবর্তন, ত্বকের সমস্যা, মেজাজের পরিবর্তন, অনিদ্রা, ক্লান্তি, মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছার মতো সমস্যা হতে পারে।

Advertisement

Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে  পরামর্শ করুন।

POST A COMMENT
Advertisement