আমরা সকলেই চোখ বন্ধ করে যার ওপর ভরসা করতে পারি। যিনি কখনও আমাদের ইচ্ছাকে অস্বীকার করে না, সেই নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং সৌন্দর্যের সম্পর্ককে আমরা মা (Mother) বলি। কথাতেই বলে, যেহেতু ঈশ্বর সর্বত্র উপস্থিত থাকতে পারেন না, তাই তিনি মায়েদের তৈরি করেছিলেন। বেশিরভাগ মহিলারাই বলেন 'মাতৃত্ব' তাঁদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ। সকলের জীবনের প্রথম গাইড, দার্শনিক, পরামর্শদাতা এবং বন্ধু হয় 'মা'। প্রতি বছর, বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মাতৃ দিবস বা মাদার্স ডে (Mother's Day)।
মাদার্স ডে ২০২৪ তারিখ (Mother's Day Date)
মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পৃথিবী জুড়ে পালিত হয় 'মাদার্স ডে'। এই বছর এই বিশেষ দিনটি পড়েছে ১১ মে।
মাদার্স ডে-র ইতিহাস (Mother's History)
১৯০৮ সালে আন্না জার্ভিস (Anna Jarvis) নামে এক ব্যক্তি প্রথম মাদার্স ডে উদযাপন করেছিলেন। পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় নিজের মায়ের স্মৃতি রূপে এই বিশেষ দিনটি উৎসর্গ করেছিলেন আন্না। এটি আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস হিসাবে পালিত হয়। মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা,সম্মান এবং ভালোবাসা জানাতে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উদযাপিত হয় মাদার্স ডে।
এই দিনটিতে আমরা আমাদের মায়েদের ধন্যবাদ জানাই, তাঁদের প্রতি আমাদের ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। যদিও বিভিন্ন দেশ ভিন্ন কায়দায় উদযাপন করা হয় মাদার্স ডে। সেরকমই ফাদার্স ডে, সিবলিংস ডে, গ্র্যান্ড পেরেন্টস ডে, ফ্যামিলি ডে, ফেন্ডশিপ ডে-র মতো বিশেষ দিনগুলি পালন করা হয়। এই এই দিনটি বিশ্বজুড়ে মাতৃত্ব ও মাতৃসত্তার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেয়।
যদিও অনেকে মনে করেন শুধু একদিন কেন, রোজ হয়ে উঠুক মাতৃ দিবস। তবে এই একবিংশ শতাব্দীতে,মায়েদের জন্য প্রতিটি দিন স্পেশাল করে তোলা কর্ম ব্যস্ততার ফাঁকে অসম্ভব। তাই একটা দিন যদি তাঁরা একটু 'স্পেশাল ফিল' করেন, তাহলে ক্ষতি কী?