'মাক্কি কি রোটি সরসন দা সাগ'- উত্তর ভারতে অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। সর্ষের শাক খাওয়ার চল রয়েছে সেখানে। বাংলাতেও সর্ষের শাক খাওয়া হয়। তবে গ্রামবাংলার মানুষই বেশি খান। শহরাঞ্চলের মানুষ খুব একটা খান না। সর্ষের তেল ছাড়া বাঙালির চলে না। যতই সয়াবিন, আমন্ডের তেল আসুক না কেন বাঙালির রান্নাঘরে সর্ষের তেল থাকবেই। সর্ষের তেলে মাছ ভাজা ছাড়া বাঙালির রসনা জমে না। সর্ষের শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর। রয়েছে একটি পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ও ঔষধি গুণ। পুষ্টিবিদরা শীতে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সর্ষের শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ভিটামিন- সর্ষের শাকে রয়েছে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে হাড়কে শক্তিশালী রাখার পাশাপাশি হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ভিটামিন ক্ষত বা আঘাত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ রোধ করতে ক্লটিং হিসাবেও কাজ করে। ফলে ভিটামিন কে পেতে হলে সর্ষের শাক খান।
পুষ্টি উপাদান- সর্ষের শাকে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পাশাপাশি অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক উপাদানও মেলে এই শাকে। গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। শরীরে গড়ে ওঠে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ক্যান্সার প্রতিরোধে- সর্ষের শাকে থাকে গ্লুকোসিনোলেট নামে উপকারী উদ্ভিদ যৌগ। গ্লুকোসিনোলেট স্বাস্থ্যকর কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ক্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়- সর্ষের শাকে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটা-ক্যারোটিন। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমাতে- সর্ষের শাকে এমন যৌগ রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রে পিত্ত অ্যাসিড তৈরি করতে সাহায্য করে। তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কার্যকর।
দৃষ্টিশক্তির জন্য-সর্ষের শাক চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন। এই দুটি পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যকর চোখের জন্য দরকারি। বয়স-সম্পর্কিত দৃষ্টির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- সকালে এই ৭ খাবার একদম খাবেন না, খেলেই অসুখ ঘিরে ধরবে