Neem Side Effects: নিম (Neem) গাছ এমন একটি গাছ যার পাতা, বীজ এবং কাণ্ড সবই শরীরের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। নিমের ডাল মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, পাতা দিয়ে স্নান করলে, সারা শরীরের উপকার করে এবং বীজ থেকে অনেক কিছু তৈরি হয় যা আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। নিম পাতা চিবানো তেতো হলেও আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে।
বসন্ত এলেই বাড়ি বাড়িতে নিম-বেগুন রাঁধা শুরু হয়। বসন্তকালে হাম, পক্স, হারপিস ও অন্যান্য সংক্রামক অসুখ রুখতে নিয়মিত নিমপাতা খাওয়া উচিত। এই ঋতুতে নিম পাতা অব্যর্থ ওষুধ।
আগে জেনে নিন নিমপাতার কী কী গুণ (Neem Advantages)-
- নিম পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী শরীরকে বাইরের ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। একটি গবেষণায়, এটি প্রকাশ পেয়েছে যে - নিম প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য একটি কার্যকর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।
- নিম সেবন রক্তচাপের সমস্যা দূর করে এবং শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
- নিমের ছালের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক, হাইপার অ্যাসিডিটি এবং আলসারের সমস্যা দূর করতে কার্যকর। নিম পাতায় আলসার প্রতিরোধক গুণ রয়েছে
যা আলসার প্রতিরোধ করে।
- নিমের তিক্ততা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
- নিম পাতা পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এর ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে নিম পাতা একেবারেই খাওয়া উচিত না (Neem Side Effects)-
- নিম গর্ভনিরোধক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে এটি শুক্রাণুর বিস্তারকে ০.০৫ থেকে ১% পর্যন্ত কমাতে পারে। এতে উপস্থিত ইমিউনো মডুলেটর কোষ এবং ম্যাক্রোফেজগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে যা গর্ভাবস্থার অবসান ঘটাতে পারে।
- নিমপাতা অন্তঃসত্ত্বা ও পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের দেওয়া উচিত নয়৷
- এছাড়াও, নিম পাতার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে, এর অর্থ এই নয় যে আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করবেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৬ থেকে ৮টি নিম পাতা খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের ক্ষতি করতে পারে।