Jayanti Forest News: জয়ন্তী পাহাড় অন্যতম গভীর ও কম ঘোরা জঙ্গলের মধ্যে একটি। এই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে রোপওয়ে চালু করার প্রস্তাব গেল প্রশাসনের কাছে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু পর্যটন প্রসারমূলক প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চালু হলে এলাকার পর্যটনের চালচিত্র বদলে যেতে পারে। এমনিতেই জয়ন্তীর গহীনতার জন্য এটার আকর্ষণ বেশি।
কোথা থেকে কোথায় চলবে রোপওয়ে?
জয়ন্তী (Jayanti) থেকে মহাকালধাম পর্যন্ত রোপওয়ে চালানোর প্রস্তাব জমা পড়ল। এই রোপওয়ে চালু হলে উত্তরের ধর্মীয় পর্যটনের বিকাশ ঘটবে। পাশাপাশি দুর্গমতার জন্য যাঁরা মহাকালধামে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে পারেন না, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ নিয়ে আসবে।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা প্রশাসনের ডাকে পর্যটনের নতুন দিশা দেখাতে এই প্রস্তাব দিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জেলাশাসক আর বিমলা বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জেলার পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা হোটেল অ্যান্ড রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পবন পুরোহিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জয়ন্তীতে রোপওয়ে চালু হলে ধর্মীয় পর্যটনের আমূল বদল ঘটতে পারে। সেটাই বলা হয়েছে বৈঠকে।
আর কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে?
রাজাভাতখাওয়ায় একটি বাটারফ্লাই পার্ক প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে একটা মিনি জু করার প্রস্তাব জমা পড়েছে। তাহলে পর্যটনের ক্ষেত্রে জেলার গুরুত্ব আরও বাড়বে। সাউথ খয়েরবাড়ি, কুঞ্জনগর ইকো পার্কের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া, কালকূট, চেকো, পোরোতে স্থানীয় জনজাতির বাসিন্দাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন কুটিরশিল্পকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হলে শিল্পীদের তাঁদের উৎপাদিত বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প বিক্রির একটা বাজার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাতিপোতা, সিকিয়াঝোরায় পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
কালচিনি ব্লক প্রশাসনের তরফে কালচিনির বনছায়া মডেল ভিলেজকে কেন্দ্র করে পর্যটনের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। একদিকে চা বাগান, তার পাশে পাহাড়ের সৌন্দর্যের টানে পর্যটকদের ভিড় যে বছরভর লেগে থাকবে, সেই আশার কথা শোনালেন তাঁরা। সেখানকার মেন্দাবাড়ির রাভাবস্তি, পোরোকে কেন্দ্র করেও পর্যটনের বিকাশ ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
চা পাতা তোলা থেকে কারখানায় কীভাবে তা প্রসেসিং হয়, সেটা দেখতেও আগ্রহী অনেক পর্যটক। এই সুযোগগুলো করে দিতেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জনজাতিদের সংস্কৃতি, খাদ্যসামগ্রী, হস্তশিল্পকে একছাতার তলায় আনলে সেটাও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।