How To Clean Your kidney: লাগবে না ওষুধ, খুব সহজে ও সস্তায় কীভাবে কিডনি পরিষ্কার রাখবেন ?

বর্তমান জীবনে আমাদের প্রত্যেকের যা জীবনধারা তাতে নিজেদের কিডনির দেখভাল করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। বাইরের জাঙ্ক ফুড থেকে শুরু করে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া যার প্রভাব পড়ছে কিডনির ওপর। শরীরের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে কিডনি। শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করে প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেয় কিডনি। এ ছাড়াও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি হরমোন নিঃসরণ করে। তবে অনিয়মিত জীবনযাপন এবং ভুল খাবারের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কিডনিকে সুস্থ ও সচল রাখতে এটি পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় খাবার ও পর্যাপ্ত পানীয় দারুণ কাজ করে দেখায়। 

শাক-সবজি খান
কিডনি পরিষ্কার রাখতে শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে। কিছু ভেষজ উপাদান ও খাবারের মাধ্যমেও কিডনি ক্লিন্সিং করা সম্ভব। এর ফলে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও কমে যায়। যেমন বিটের জুস, তরমুজ, লেবুর রস, ক্র্যানবেরি জুস, কুমড়োর বীজ, হলুদ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: রোজকার অনিয়মে লিভার বেহাল? এই ৫ উপায়ে খাকুন সুস্থ

আট গ্লাস জল অবশ্যই খেতে হবে
তবে যা-ই খান না কেন, প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল অবশ্যই খেতে হবে। পাশাপাশি ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চললে সুরক্ষিত থাকবে কিডনি। 

-প্রথমত কিডনি পরিষ্কার রাখতে ধৃমপান না করাই শ্রেয়।
-বেশি মাত্রায় মদ ও ক্যাফেইন জাতীয় কিছু পান করবেন না।
-রক্তচাপ ও সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখবেন।
-কোলেস্টেরল বাড়তে দেবেন না।
-ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
-লবণ কম খান।

আরও পড়ুন: ওজন-ইউরিক অ্যাসিড কমায় দই-রসুনের চাটনি

ধনেপাতার রস
তবে অনেকেই হয়ত জানেন না যে রোজ ধনেপাতার রস খেলে কিডনি ক্লিন এমনিই হয়ে যাবে। কিডনির মধ্যে জমে থাকা নুন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। ধনেপাতা মহৌষধ। একআঁটি ধনেপাতায় রয়েছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।

কীভাবে বানাবেন ধনেপাতার জুস
পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে একআঁটি ধনেপাতা। কুচি কুচি করে কেটে পাত্রে রাখতে হবে ধনেপাতা। পাত্রে কিছুটা পরিষ্কার জল নিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রাখতে হবে। ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে ওই বোতল। এরপর খেতে পারেন নিয়মিত।