ফারাক্কায় ইলিশ রেঞ্চিং স্টেশন তৈরি হওয়ায় আগামী মরশুম থেকে পদ্মা থেকে উজিয়ে গঙ্গায় ইলিশ আসবে নিয়মিত। এমনটাই আশা এ দেশের মৎস্য বিজ্ঞানীদের। অভিপ্রেত সময়ের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। কিন্তু ইলিশ যে আসছেই সে বিষয়ে নিশ্চিত। তবে গঙ্গায় আসার আগেই ইলিশ ঢুকতে শুরু করেছে অন্য নদীতে। যেখানে কালেভদ্রে এক আধটা ইলিশ ঢুকে যায়, সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকছে ইলিশ।
আচমকা মানসাইতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
তাও উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত কোচবিহারের মাথাভাঙা শহর লাগোয়া মানসাই নদীতে। সেই মানসাইতে আচমকা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঢোকাতে অবাক মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও সরকারি মৎস্যকর্তারা। উত্তরবঙ্গের এই নদীতে ইলিশ এর আগে মেলেনি তা নয়। কালেভদ্রে এক আধটা ইলিশ রাস্তা হারিয়ে চলে আসে কখনও সখনও। তা বলে ঝাঁক ! উঁহু। কেউ মনে করতে পারছেন না কবে শেষবার এসেছিল। তাই সবাই অবাক।
মানসাইয়েও এখন ইলিশ পাওয়া যায়
পদ্মা থেকে হিসেব করলে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উজানে সাঁতরে ইলিশ গিয়েছে এই নদীতে। যা ইলিশের স্বভাববিরুদ্ধ না হলেও বিরল তো বটেই। যেখানে মানসাইয়ে ইলিশ পাওয়া যায়, তা এক কথায় কেউ বলবেন না।মৎস্যজীবীরা অবশ্য অতশত ভাবতে রাজি নন, তাই তাঁরা জাল ভরে ইলিশ তুলছেন। খুশি স্থানীয় মত্সজীবীরা।
৪০০ কিলোমিটার উজানে সাঁতার ইলিশের
মানসাই নদীটি বাংলাদেশে ঢুকে মিশেছে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে। ব্রহ্মপুত্র নদী বাংলাদেশে মিশেছে পদ্মার সঙ্গে। পদ্মা থেকে মানসাইয়ের নদীপথে দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এতটা নদীপথ উজিয়ে খুব অল্প সংখ্যক ইলিশ মানসাই নদীতে আসে। স্থানীয়দের দাবি, তিন বছর আগে অবশ্য মানসাইতে ভালো পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছিল। আর এ বছরও ভালো ইলিশ ধরা পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
ইলিশগুলি সব এক এক কেজির বেশি ওজনের
মাথাভাঙা লাগোয়া এলাকায় থাকা মত্সজীবীরা ইলিশ ধরার তোড়জোর শুরু করেছেন। সম্প্রতি ভোগডাবরি এলাকার মৎস্যজীবীদের জালে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। ইলিশগুলি সব এক এক কেজির বেশি ওজনের। এরপরই অন্য জেলেরাও আশায় রয়েছেন, তাঁদের জালেও অন্তত দু-দশ কেজি ইলিশ আসুক।
স্বাদে পার্থক্য রয়েছে তবে চাহিদা ব্যাপক
সবাই আশা করছেন, গোটা নভেম্বর জুড়েই মানসাইয়ে জলে মিলবে পদ্মা-মেঘনার বিখ্যাত রুপোলি ফসল। এই ইলিশের স্বাদ গঙ্গা-পদ্মার ইলিশের মতো না হলেও স্থানীয় নদীতে ধরা বপড়ায় উৎসাহ রয়েছে কেনাতেও। প্রতিদিনই সব কটা স্থানীয় ইলিশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।