বর্তমানে প্রত্যেকের জীবনে যে পরিমাণ মানসিক চাপ রয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের জীবন যাপনে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত স্ট্রেস এবংপর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি থেকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দেওয়া খুব একটা অবাক হওয়ার বিষয় নয়। কাজের চাপে প্রায়ই আমাদের বাইরের খাবার খাওয়া হয়ে যায়, যার ফলে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে কোন খাদ্যতালিকা মেনে চলবেন তার একটা প্রাথমিক ধারনা দেওয়া হল।
যাঁরা গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাঁরা কী খাবেন
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। এ ছাড়াও আপনার ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি রাখুন। সে সমস্ত ফল খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা হয় না সেগুলি খান। একবেলা দই খেতে পারেন। পাশাপাশি শস্যদানা রাখুন ডায়েট চার্টে। রান্নায় বিভিন্ন ধরনের হার্বস ব্যবহার করুন। গোলমরিচ, আদা, কাঁচা হলুদ গ্যাসের সমস্যায় উপকারী। আর অবশ্য দিনে অন্তত ৩ লিটার জন খান।
খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ফলগুলো
-তরমুজ খেতে পারেন। এই ফলে জলের পরিমাণ বেশি। তাই গ্যাসের সমস্যা কমাতে উপকারী তরমুজ।
-নারকেল খেতে পারেন যাঁরা পেটের সমস্যায় রোজ ভুগে থাকেন। নারকেল যাঁদের সহজেই হজম হয়, তাঁরা এই ফলটি খেলে উপকার পাবেন।
-পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফলে হজমজনিত যে কোনও সমস্যায় পেয়ারা কার্যকর হবে। তবে পেয়ারা খেলে যদি পেট ফাঁপে, তা হলে না খাওয়াই ভাল।
-কলায় উপস্থিত ফাইবার গ্যাস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। রোজ অন্তত ১টি কলা খান।
-ডাবের জল পান করুন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। রয়েছে বহু উপকারি মিনারেলসও।
কী খাবেন না
-অতিরিক্ত মশলা খাবার, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন।
-গ্যাস অম্বলের সমস্যা থাকলে রাতে দেরি করে খাবেন না। চেষ্টা করুন ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলতে।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে অনেক ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই অতিরিক্ত মাছ-মাংস, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভাল।
-নিয়মিত ব্যায়াম করুন। তাতে পেটে গ্যাস জমার প্রবণতা কমবে।
-দীর্ঘ সময়ে পেট খালি রাখবেন না।
-বাজার চলতি প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলাই ভাল
-চুইংগাম, পপকর্ন ফাস্টফুড খাবেন না।
-ক্যাফিন রয়েছে এমন পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল।
-সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবার খান। এতে খাবার সহজে হজম হবে।