How To Control Blood Sugar At Night: ডায়াবেটিস একটি গুরুতর এবং দুরারোগ্য রোগ। রোগ যত দ্রুত ছড়ায়, নিয়ন্ত্রণ করা ততই কঠিন। আসলে টাইপ 1 ডায়াবেটিস বা টাইপ 2 ডায়াবেটিস, কন্ট্রোল করা একটি পূর্ণ সময়ের কাজ। ব্লাড সুগার চেক করা, ওষুধ, ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়, যেগুলোর প্রতি দিনরাত খেয়াল রাখতে হবে।
সারাদিনের ক্লান্তির পর, পেট ভরে খাওয়া এবং নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ার মানে এই নয় যে আপনার রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে। আসলে ডায়াবেটিসের কারণে আপনার অবস্থা যে কোনো সময় খারাপ হতে পারে, তাই রাতে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ভালো ঘুম হওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন এমনই কিছু সহজ উপায়, যা আপনার ঘুমের উন্নতি ঘটাতে পারে এবং আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের উপায়
ক্যামোমাইল চা
আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হয়ে থাকেন তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুমানোর আগে ১ কাপ ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন। এর শক্তিশালী অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৭টি ভিজিয়ে রাখা বাদাম
রাতে ঘুমনোর আগে সাতটি বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন। বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং ট্রিপটোফ্যান ঘুমের গুণমান উন্নত করতে, রাতের ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং সুগার ক্রের্ভিং কমাতে সাহায্য করে।
এক টেবিল চামচ ভেজানো মেথি বীজ
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে ঘুমনোর আগে এক চা চামচ ভেজানো মেথি বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন। মেথি বীজের হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ঘুমের উন্নতিতে সহায়ক।
১৫ মিনিটের জন্য বজ্রাসন করুন
সারাদিনের ক্লান্তি এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুমানোর ১৫ মিনিট আগে বজ্রাসন করতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের পাশাপাশি রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সহায়তা করে।
এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিন
বেশিরভাগ মানুষেরই ঘুমনোর আগে মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার অভ্যাস আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আপনার রাতে কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমনো উচিত। স্নায়ু ব্যথা, ঘন ঘন তৃষ্ণা, প্রস্রাব করার প্রয়োজন এবং ক্ষুধা সবই আপনাকে জাগিয়ে রাখতে পারে। যদি এই লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।