Night View Kanchenjungha: এ রাজ্যের ভ্রমণপ্রেমীদের কেউ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেননি এমন কোনও লোক পাওয়া যাবে না বললেই চলে. দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যই হল কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন। বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখার জন্য এ রাজ্যর বা সিকিমের পার্বত্য এলাকা মিলিয়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট হল টাইগার হিল। এ নিয়ে কারও কোনও দ্বিমত নেই। তাই টাইগার হিলকে ঘিরে পর্যটকদের আনাগোণা সারা বছরই থাকে। ভোরের আলোয় কিংবা দিনের বিভিন্ন সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার আরও নানা ভিউ পয়েন্ট আছে। কিন্তু রাতের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ভিউ পয়েন্টে? অনেকেরই ভ্রু কুঁচকে যাবে। কারণ জানা নেই কোথায় রয়েছে এই ভিউ পয়েন্ট? কিছুদিন আগে পর্যন্ত অন্তরালে থাকা এই ভিউ পয়েন্টকে ঘিরে এখন রাতের কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনে লোক টানছে এই অফবিট টুরিস্ট স্পট।
কোথায় এই নয়া টুরিজম কেন্দ্রটি?
সিকিমের বহু জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। গ্যাংটক, ছাঙ্গু, পেলিং, রাবাংলা, লাচুং, লাচেন, ইউমথাং। তার বাইরে কিছু অফবিট কেন্দ্রও রয়েছে। যদিও সে সব জায়গায় ভিড় কম। দক্ষিণ আর পূর্ব সিকিমের অনেক জায়গায় পর্যটকরা পা রাখেন না। এই দক্ষিণ-পশ্চিম আর পূর্ব সিকিমেই লুকিয়ে রয়েছে পাহাড়ি রাজ্যের আসল সৌন্দর্য। যা এখনও অনেকের অজানা। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যই আলাদা।
অচেনা সুন্দরী কিউজিং
এবার শীতের ছুটিতে তাই পাড়ি জমাতেই পারেন দক্ষিণ সিকিমের ছোট্ট গ্রাম কিউজিংয়ে। নিকটবর্তী শহর রাবাংলা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্ব। রাস্তা এখনও খুব ভাল নয়। তবে সৌন্দর্য আপনাকে ভুলিয়ে দেবে পথের কষ্ট। কিন্তু পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য সেই খামতি ভুলিয়ে দেবে। পাহাড়ি এলাকায় কোনও হোটেল নেই। সব ছোট ছোট হোমস্টে। নিজেদের বাড়িতেই অতিথি আপ্যায়নের জন্য বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে। এখানে দিনের আলোয় আর রাতের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘার আলাদা রূপ। সকাল আর সন্ধ্যে পাহাড়ের দুই ভিন্ন রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা
সকালের নীল আকাশে শ্বেত শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে রাতের কাঞ্চনজঙ্ঘার কোনও মিল পাবেন না। সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন কেন এ কথা বলা হচ্ছে। সারা বছর সেখান থেকে তাকালে মনে হবে অন্য পাহাড়ে দীপাবলীর মতো আলো জ্বলতে দেখা যাবে। রাত যত গভীর হতে থাকে অন্ধকার যত গহীন হয়, আর শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা চিকচিক করে। এলাকার যে কোনও জায়গা থেকে অই দৃশ্য দেখা যায়। পূর্ণিমায় ঘুরতে যেতে পারলে মন ভরে যাবে অনির্বচনীয় আনন্দে।
খরচ ও যাতায়াত
শিলিগুড়ি থেকে সাড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। তিস্তা নদীকে পাশে রেখে গাড়ি পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। পথের দৃশ্যও অপরূপ। গাড়ির খরচ ৩০০০ থকেে ৪০০০ টাকা। হোমস্টের খরচ প্রতিদিন গড়ে ২০০০ টাকা।