Boiled egg vs Omelets: অমলেট নাকি সেদ্ধ ডিম, কোনটা খেলে দ্রুত ওজন কমবে? জেনে নিন

ওজন কমানোর জন্য ডিম একটি জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী খাদ্য বিকল্প। প্রোটিনে ভরপুর এই খাবারটি শুধু শরীরকে শক্তি জোগায় না, বরং খিদে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, অমলেট নাকি সেদ্ধ ডিম, কোনটি ওজন কমাতে বেশি কার্যকর?

Advertisement
অমলেট নাকি সেদ্ধ ডিম, কোনটা খেলে দ্রুত ওজন কমবে? জেনে নিন
হাইলাইটস
  • ওজন কমানোর জন্য ডিম একটি জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী খাদ্য বিকল্প।
  • প্রোটিনে ভরপুর এই খাবারটি শুধু শরীরকে শক্তি জোগায় না, বরং খিদে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

ওজন কমানোর জন্য ডিম একটি জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী খাদ্য বিকল্প। প্রোটিনে ভরপুর এই খাবারটি শুধু শরীরকে শক্তি জোগায় না, বরং খিদে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, অমলেট নাকি সেদ্ধ ডিম, কোনটি ওজন কমাতে বেশি কার্যকর?

আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির ‘জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের রান্নার ধরন তার প্রোটিন শোষণ, হজমক্ষমতা এবং পুষ্টিগুণে বড় প্রভাব ফেলে।

গবেষণার মূল ফলাফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সেদ্ধ ডিমে কোনও তেল, ঘি বা মাখন ব্যবহৃত হয় না, ফলে এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয় না। সিদ্ধ ডিমের প্রোটিন কাঠামো স্থিতিশীল থাকে, যা শরীর সহজে শোষণ করতে পারে।

অন্যদিকে, অমলেট তৈরিতে তেল বা মাখন ব্যবহৃত হয়, যা শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে। অনেকেই আবার অমলেটে পনির, সসেজ বা প্রক্রিয়াজাত মাংস যোগ করেন, যা চর্বি ও সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলত, অমলেটের ক্যালোরি সেদ্ধ ডিমের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়।

কোনটা বেশি উপকারী ওজন কমানোর জন্য?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিদ্ধ ডিম ওজন কমাতে আরও উপযোগী, কারণ এতে ক্যালোরি কম এবং প্রোটিন বেশি। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে ঘন ঘন খিদে লাগে না। সেদ্ধ ডিমে ফ্যাটের পরিমাণও কম থাকে, যা ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

অন্যদিকে, অমলেট তুলনামূলকভাবে ক্যালোরি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমানোর পথে বাধা হতে পারে, বিশেষ করে যদি তা মাখন বা পনির দিয়ে তৈরি হয়।

ফিটনেস টিপস
যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন প্রতিদিন সকালে ১-২টি সেদ্ধ ডিম খেতে। এটি প্রোটিন সরবরাহ করবে, পেট ভর রাখবে এবং অতিরিক্ত স্ন্যাকস খাওয়ার ইচ্ছে কমাবে।

তবে, আপনার ওজন, বয়স এবং দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ জানতে পুষ্টিবিদ বা সার্টিফাইড ট্রেনারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

 

POST A COMMENT
Advertisement