ছানা থেকে তৈরি প্রচলিত দুগ্ধজাত খাদ্য হল পনির (Paneer)। সাধারণত ফুটন্ত দুধে লেবুর রস, ভিনেগার অথবা অম্লজাতীয় কোনও পদার্থ যোগ করে ছানা তৈরি করা হয় এবং সেই ছানা থেকে জল বের করে দিয়ে পনির প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।
নিরামিষভোজীদের মধ্যে পনির অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ পনির শরীরের প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। এতে গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
বাজার থেকে কেনা পনির মাঝে মধ্যে খেতে ভাল হয় না। চিবিয়ে খেতে গেলে শক্ত লাগে। কেন এমন হয় জানেন? কারণ নকল পনির। হ্যাঁ, নকল পনির শক্ত এবং এর ধরণ রাবারের মতো। জানুন কীভাবে পনিরের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করবেন।
কীভাবে চিনবেন খাঁটি পনির?
* পনিরের একটি ছোট টুকরো হাতে ঘষে দেখতে পারেন। যদি এটি ভাঙতে শুরু করে, তাহলে বুঝতে হবে পনিরে ভেজাল রয়েছে। কারণ এতে উপস্থিত 'স্কিমড মিলড পাউডার' বেশি চাপ সহ্য করতে পারে না।
* নকল পনির শক্ত। এর গঠন রাবারের মতো। আপনি যদি পনির বাড়িতে নিয়ে আসেন, তবে আয়োডিন টিংচারের সাহায্যে আপনি পনিরটি আসল না নকল তা সনাক্ত করতে পারেন। এর জন্য একটি প্যানে জল দিয়ে পনির ৫ মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে, পনিরে কয়েক ফোঁটা আয়োডিন টিংচার যোগ করুন। পনিরের রং নীল হয়ে গেলে বুঝবেন এটা নকল।
* ভেজাল পনির খাওয়ার সময় এটি রাবারের মতো প্রসারিত হয় এবং আসল পনির নরম থাকে।
* সোয়াবিন বা অড়হর ডালের গুঁড়ো ছিটিয়ে পনির আসল নাকি নকল জানতে পারবেন। এইভাবে পরীক্ষা করার জন্য, জলে পনির দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। এরপর এটিকে কিছুটা ঠান্ডা করে, সোয়াবিন বা মটর গুঁড়ো দিন এবং ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ১০ মিনিট পর পনিরের রং যদি হালকা লাল হতে শুরু করে, তাহলে বুঝবেন এটি নকল। পনিরের লাল রং নির্দেশ করে যে, এটি ডিটারজেন্ট বা ইউরিয়া থেকে তৈরি করা হয়েছে।