পান্তা ভাত অনেকেই খেয়ে থাকেন। খাবারটি গ্রীষ্মের জন্য উপযুক্ত। কারণ, এটি পাচনতন্ত্রকে ঠান্ডা করে এবং শরীরকে তাপ থেকে রক্ষা করে। আলু ভাজা, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, লেবু, মাছ ভাজা, পাঁপড় এবং শুকনো লঙ্কা, বাড়িতে যা-ই থাকুক না কেন, তাই দিয়েই জমে যায় পান্তা।
পান্তায় প্রচুর পরিমাণে শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। পান্তায় প্রচুর আয়রন থাকে। এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, পান্তা ভাতে সাধারণ ভাতের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। হজম করাও সহজ।
পান্তা ভাতে মেটাবোলাইট আইসোরহ্যামনেটিন-সেভেন-গ্লুকোসাইড পাওয়া যায়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম পান্তা ভাতে (১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর) ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে থাকে মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ১০০ গ্রাম পান্তাভাতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৩৯ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম; যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয় ৩০৩ মিলিগ্রাম যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে ৪৭৫ মিলিগ্রাম।
পান্তা ভাত ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। পান্তাভাত শর্করাসমৃদ্ধ জলীয় খাবার। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। জলীয় খাবার বলে শরীরের জলের অভাব মেটায় এবং তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, কারণ এটি ফারমেন্টেড বা গ্যাঁজানো খাবার। মানবদেহের জন্য উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে উঠে।
আরও পড়ুন-তরমুজ লাল না ফ্যাকাসে, মিষ্টি না পানসে, কাটার আগে যেভাবে বুঝবেন