Butter Benefits In Multiple Ways: বিশেষজ্ঞদের মতে যে আপনার যদি আখরোট, আমন্ড, পেস্তা এসব মতো দামি ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া সম্ভব না হয়, তবে আপনার মাখন খাওয়া উচিত। কারণ এর উপকারিতা এই শুকনো ফলের চেয়ে কম নয়। মাখনে স্বাস্থ্যকর খনিজ ও ভিটামিন বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভিটামিন বি ৫, জিঙ্ক, আয়রন, পটাসিয়াম এবং সেলেনিয়ামেও খুব বেশি।
আরও পড়ুনঃ নিয়মিত দই খান অনেকেই, শীতকালে খাওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন...
আরও পড়ুনঃ দু'হাতে রোজগার করবেন অর্থ, থাকবে খ্যাতিও, শুধু বিয়েতেই যত সমস্যা এই রাশির
মাখন ওজন কমাতে সহায়ক
ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, এক চামচ মাখনে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে, কিন্তু এই ক্যালোরি চর্বি আকারে থাকে। এটি কেবল আমাদের শরীরের জন্যই উপকারী নয়, এটি হৃদরোগ থেকে রক্ষা, ওজন কমাতে এবং স্থূলতা দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
মাখনের উপকারিতা
১. মাখন মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েরা প্রতিদিন মাখন খান। ৩০ বছর বয়সীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৯ শতাংশ হ্রাস করে। মাখন আপনার ওজন কমানোর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও উপকারী বলে মনে করা হয়।
২. প্রতিদিন এক চামচ মাখন ওজন বৃদ্ধি হওয়া থেকে রুখে দেয়। যারা জিম করেন তাদের জন্য এটি একটি ভাল বিকল্প।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে এক চামচ মাখন।
৪. এটি খারাপ কোলেস্টেরলও কমায়। মাখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়। ১০০ গ্রাম মাখনে ২৫ গ্রামের বেশি প্রোটিন থাকে।
৫. এটি খেলে আপনি আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে পারেন।
কখন খাবেন?
বেশি মোবাইল এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অনেকের চোখ খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এর উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই ক্ষেত্রে, আপনার মাখন খাওয়া উচিত। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ আপনার চোখের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। মাখন উচ্চ ফাইবার উপাদান সমৃদ্ধ। এটি নিয়মিত খেলে আপনার পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। পরিপাকতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করার কারণে আপনার শরীর সব রোগ থেকে রক্ষা পায়। এই মাখনে এমন বিশেষ গুণ রয়েছে যা কিডনিতে পাথরের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার দুধে এক চামচ মাখন মিশিয়ে খান। তবে কোনও কিছু অতিরিক্ত খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।