পুষ্টিগুণে ঠাসা বাদাম। আমন্ডে পুষ্টিগুণ থাকলেও দাম অনেক। তাই চিনাবাদামকে গরিবের আমন্ড হয়। চিনাবাদামেও রয়েছে বিবিধ পুষ্টি উপাদান। যা শরীরের জন্য উপকারী। চিনাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন-ই। ফলে স্বাস্থ্যের সার্বিক বিকাশের জন্য কার্যকর। প্রতিদিন বাদাম খেলে ত্বক ও শরীর সুস্থ থাকে। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে সবার জন্য চিনাবাদাম উপকারী নয়। তাঁরা বাদাম খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মাইগ্রেন- মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। চিনাবাদাম খাওয়া আপনার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বাদাম খেলে অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি বা গ্যাস হতে পারে, যা মাইগ্রেনের অনুঘটক।
ইউরিক অ্যাসিড- শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এতে রয়েছে বিপুল প্রোটিন এবং ফ্যাট। যা ইউরিক অ্যাসিড আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে চিনাবাদাম না খাওয়াই ভালো।
কিডনির সমস্যা- যাঁরা কিডনির সমস্যা আছে তাঁরা চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বাদামে থাকে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট। যে কারণে এটি লিভারের পাশাপাশি কিডনির জন্যও ক্ষতিকর।
আর্থ্রাইটিস- আর্থ্রাইটিসের রোগী বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা থাকলে চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। আসলে চিনাবাদামে থাকা লেকটিন অস্থিসন্ধির যন্ত্রণা বা ফোলাভাব বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
লিভারের সমস্যা- লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে অতিরিক্ত বাদাম খেলে। কারণ এতে অ্যাফ্লাটক্সিনের মতো উপাদান থাকে। যা লিভারের ক্ষতি করে। অতিরিক্ত বাদাম খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও হয়। ফলে যাঁদের ফ্যাটি লিভার আছে তাঁরা বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
পেট ব্যথা ও এলার্জি- অতিরিক্ত চিনাবাদাম খেলে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। বেশি চিনাবাদাম খাওয়ার অভ্যাসের কারণে হাতে-পায়ে চুলকানি, মুখে ফোলাভাব এবং ত্বকে ফুসকুড়ির পাশাপাশি পেটে ব্যথাও হতে পারে।
অ্যাসিডিটি- যাঁদের হজমের সমস্যা থাকে, বা অ্যাসিডিটি থাকে তাঁরাও এড়িয়ে চলুন চিনাবাদাম। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা বহুগুণে বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য,গ্যাস এবং বুকজ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
উচ্চ রক্তচাপ- হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে এড়িয়ে চলুন বাজার থেকে কেনা ভাজা বাদাম। কারণ বাদামের স্বাদ বাড়াতে অতিরিক্ত নুন দেওয়া হয়। আর নুনে থাকে সোডিয়াম। যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।
অতিরিক্ত ওজন- ওজন বাড়ার সমস্যা থাকলে চিনাবাদাম এড়িয়ে চলুন। কারণ বাদামে থাকে হাই ক্যালোরি। সে কারণে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। সে কারণে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা দূরে থাকুন।
দিনে কতগুলি চিনাবাদাম খাওয়া উচিত
উপরোক্ত কোনও সমস্যা না থাকলে দিনে সর্বাধিক ৪২ গ্রাম চিনাবাদাম খেতে পারেন। এক মুঠো বাদাম অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। রাতে ভিজিয়ে সকালে খোসা ছাড়িয়ে খান বাদাম। অসুখ-বিসুখের সমস্যা থাকবে না।
আরও পড়ুন- শীতে উল্টোপাল্টা খেয়ে ভুঁড়ি? গরমের আগেই ৭ টিপসে মোমের মতো গলবে চর্বি