চা খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু চা খেতে গিয়ে বিষপান করছেন না তো! প্লাস্টিকের চা ছাঁকনিই বিপদ ডেকে আনছে। বাড়িতে বা রাস্তার চায়ের দোকানে প্লাস্টিকের চা ছাঁকনি ব্যবহার করা হয়। এই প্লাস্টিকের ছাঁকনি ও কাপে চা খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে,যখন কোনও গরম খাবার বা পানীয় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসে,তখন তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। শুধু চায়ের ছাঁকনি নয়,প্লাস্টিকের কাপ,প্লেট এবং চামচও খাবারকে বিপজ্জনক করে তোলে। কখনও কখনও চা ছাঁকনি পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক থেকে তৈরি করা হয়। ছেঁকে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি চায়ে মিশে যায়। যা থেকে মারাত্মক রোগ হতে পারে।
ক্রমাগত প্লাস্টিকের ছাঁকনি ব্যবহারের ফলে কাপে হাজার হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক জমা হয়। এখন অনেকেই মোবাইল অ্যাপে বাইরের চা অর্ডার করে। প্লাস্টিকের কৌটোয় ভরে বাড়িতে বা অফিস আসে সেই চা। তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কী কী হতে পারে এই চা খেলে-
১। ক্যান্সারের ঝুঁকি- প্লাস্টিকের মধ্যে মেট্রোসমিন এবং বিসফেনলের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা শরীরে ক্যান্সার ছড়াতে কাজ করে। ফলে সাবধান! চা খাওয়ার সময় দেখে নেবেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে কিনা।
২। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষতি- গর্ভবতী মহিলাদের ভুল করেও প্লাস্টিকের ছাঁকনিযুক্ত চা পান করা উচিত নয়। কারণ মাইক্রোপ্লাস্টিক পৌঁছয় শিশুর শরীরে। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
৩। কিডনির উপর প্রভাব- একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসা পানীয় পান করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। কারণ এটি কিডনির ফিল্টারিং প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
৪। পুরুষদের মধ্যে পুরুষত্বহীনতা- প্লাস্টিকের কাপে চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ুন। এতে পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। আপনি বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারাবেন।
৫। হজমের সমস্যা- চায়ের ছাঁকনি থেকে বেরিয়ে আসা মাইক্রোপ্লাস্টিক অন্ত্রের ক্ষতি করে। যে কারণে পরিপাকতন্ত্রের অবনতি হতে পারে।
৬। মস্তিষ্কের উপর প্রভাব- প্লাস্টিকে উপস্থিত বিপজ্জনক রাসায়নিকগুলি মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতাকে প্রভাবিত করে।
অবিলম্বে প্লাস্টিকের ছাঁকনি ফেলে দিন
অবিলম্বে আমাদের বাড়ি থেকে প্লাস্টিকের চা ছাঁকনি ফেলে দেওয়া উচিত। স্টিলের ছাঁকনি ব্যবহার করুন। কিছু লোক সুতির কাপড়ের ছাঁকনিও ব্যবহার করে যা নিরাপদ। বাড়িতে বা দোকানে প্লাস্টিকের কাপে চা খাবেন না।