দীপাবলির রঙিন আলো আর আতসবাজির উজ্জ্বল ঝলকানি যতই আনন্দদায়ক হোক না কেন, পরের দিন থেকেই শহরের বাতাস হয়ে ওঠে বিষাক্ত। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশের একাধিক শহরে দীপাবলির পরদিন Air Quality Index (AQI) ছাড়িয়ে গেছে ৫০০, যা বিপজ্জনক স্তরে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা আবহাওয়ার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুদূষণ আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে শুধু বাইরের নয়, ঘরের ভিতরের বাতাসও হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ। এয়ার পিউরিফায়ার থাকলে সমস্যা কিছুটা কম, কিন্তু যাঁদের ঘরে নেই, তাঁদের জন্য কিছু সহজ, সাশ্রয়ী উপায় রইল এই প্রতিবেদনে।
ঘরের ভিতরে এই কাজগুলো এড়িয়ে চলুন
সুগন্ধি জ্বালানো বন্ধ করুন
অনেকেই ঘরে সুগন্ধি ধূপ বা স্প্রে ব্যবহার করেন, যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি। এগুলি অদৃশ্যভাবে বাতাসে দূষণ ছড়িয়ে দেয়। এর বদলে প্রাকৃতিক ঘ্রাণ যেমন লেবু বা ইউক্যালিপটাস তেল ব্যবহার করুন।
ঘরের মধ্যে সিগারেট খাওয়া একদম নয়
ঘরের ভিতরে ধূমপান বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। শিশু, বয়স্ক বা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ ক্ষতিকর।
কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে বাতাস পরিষ্কার রাখবেন
এসি ব্যবহার করে হালকা বায়ুচলাচল
সব দরজা-জানালা বন্ধ থাকলে ঘরে গরম ও আর্দ্র বাতাস জমে যেতে পারে। জানালা বা স্প্লিট এসি চলালে বাইরের দূষিত বাতাস ভিতরে আসা কমে যায় এবং বায়ুচলাচল বজায় থাকে।
এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন
রান্নাঘর বা বাথরুমের এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করে ভিতরের দূষিত বাতাস বাইরে পাঠানো যায়। প্রয়োজনে অতিরিক্ত এক্সহস্ট ফ্যান ইনস্টল করতে পারেন।
ঘরের গাছপালা, প্রাকৃতিক পিউরিফায়ার
নিম্নলিখিত ইনডোর গাছগুলি বায়ু থেকে বিষাক্ত উপাদান শোষণ করে নেয়:
স্নেক প্ল্যান্ট (Sansevieria)
অ্যারেকা পাম
পিস লিলি
অ্যালোভেরা
মানি প্ল্যান্ট
এই গাছগুলো নিয়মিত জল দিয়ে এবং আলো পেয়ে ভালো থাকে, এবং ঘরের বায়ুকে প্রাকৃতিকভাবে বিশুদ্ধ রাখে।
দরজা-জানালায় সঠিক পর্দা ব্যবহার
সুতি বা পাটের মোটা পর্দা ঘরের ধুলোবালি ও বাইরে থেকে আসা দূষিত কণা রোধ করতে কার্যকরী। এগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও সহজ।
এসি ফিল্টার পরিষ্কার করুন
যদি আপনার এসিতে Self-Cleaning অপশন থাকে, তবে তা ব্যবহার করুন। ফিল্টার নিজে পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ সেখানে ধুলো ও অ্যালার্জেন জমে থাকে।