
ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন বা অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে বসে কাজ করে চলেছেন? বা পড়াশুনো করেন! ফোন-ল্যাপটপের অত্যাধিক ব্যবহার ও কম ঘুমের কারণে অজান্তেই শরীরে বিবিধ ক্ষতি করে চলেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার মেরুদণ্ড। এভাবেই যদি উপেক্ষা করতে থাকেন তাহলে ভবিষ্যতে খারাপ পরিণতি আপনার জন্য় অপেক্ষা করে রয়েছে। আমরা কীভাবে বসে থাকি, কীভাবে ফোন ঘাঁটি, কীভাবে ঘুমোই- এসব কিছুই প্রভাব ফেলে শরীরে। এই ধরনের বদ অভ্যাস চলতে থাকলে শরীরের কাঠামোয় ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
টেক্সট নেক (text neck)
মোবাইল বা ট্যাবলেট ব্যবহার করলে এই সমস্যা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথা নীচু করে মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখছেন। একই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকছে ঘাড়। ঘাড়কে দুর্বল করে তোলে। সেই সঙ্গে সার্ভিকাল মেরুদণ্ডের সংকোচনের ঝুঁকিও বাড়ে। মেরুদণ্ড সংকুচিত হলে হাত ও পায়ে শিরশিরানি হয়।
কাইফোসিস (kyphosis)
মেরুদণ্ডের উপরের অংশের বেঁকে যায় (কাইফোসিস)। এই সমস্যা এখন ক্রমবর্ধমান। সাধারণত দীর্ঘ সময় ডেস্কে বা চেয়ারে বসে থাকলে এই সমস্যাটি হয়। এনএইচএস-এর মতে, চেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, কোমর ঝুঁকে থাকা বা কাঁধে ভারী ব্যাগ বহন করলে কিফোসিস বাড়তে পারে। মেরুদণ্ড ধীরে ধীরে বেঁকে যায়।
স্যাড শোল্ডার (sad shoulder)
কাঁধ সামনের দিকে ঢালু দেখায়। এই কারণে ছাতি সোজা করে দাঁড়াতে পারেন না আক্রান্ত। শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। ব্যথা, পেট ফোলা এবং মাথাব্যথাও হতে পারে এই সমস্যা থাকলে। Time4Sleep-র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ব্রিটেনের ৭০ শতাংশ লোক পিঠের ব্যথায় এবং ৬৭ শতাংশ লোক ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন।
কীভাবে দাঁড়ানোর ভঙ্গিমায় পরিবর্তন আনবেন?
ছোট থেকে শিশুদের মধ্যে অভ্যাস তৈরি করুন। কোমর সোজা করে শিশুদের বসতে বলুন। বড়দের ক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে না থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। বসার সময় সোজা বসুন। চেয়ারে গা হেলিয়ে দেবেন না। মোবাইলের ব্যবহার কমান। মোবাইলে ঘাড় গুঁজে থাকবেন না। ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমোন। জিমে গিয়ে কসরত করুন।
আরও পড়ুন- সাবধান! এই বাসি খাবারগুলি গরম করলে শরীরে বড় ক্ষতি