ছোটবেলা থেকেই হলুদের সঙ্গে পরিচিত আমরা সবাই। রান্নায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে হোক কিংবা শীতকালে কাঁচা হলুদ গুড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার কথাই হোক। হলুদের গুনাগুন সম্বন্ধে ছোট থেকে প্রত্যেকেই ঠাকুমা দিদিমার মুখে কিছু না কিছু শুনেই বড় হয়েছি সবাই। তবে বড় হয়ে গিয়ে বিভিন্ন রকম ওষুধের তাত্ক্ষণিক সমাধানের দৌড়াত্বে হলুদের গুণাগুণ এখন বিস্মৃতির পথে।
তবে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাঁচা হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, যা আপনাকে সুস্থ রাখতে ভীষণ কার্যকর। হলুদ যে শুধুমাত্র ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে তা নয়, হলুদ খাবার পরিপাক থেকে শুরু করে আর্থারাইটিস অ্যানিমিয়া, ক্যান্সার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে এক কুচি কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা।
হলুদ খাওয়ার উপকারিতা
হজমের সমস্যা দূর করতে কাঁচা হলুদ খান নিয়মিত।
যেভাবে খাবেন কাঁচা হলুদ
চিকিৎসকরা বলছেন, দুধ দিয়েই খেতে হবে হলুদ। কারণ হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিনকে পুরোদস্তুর কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করে দুধ৷ ঘন দুধ, যাতে সর পড়ে, তার সঙ্গেই খেতে হবে কাঁচা হলুদ। কারণ, জল বা গুড়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে কারকিউমিনের অনেকটা শোষিত হয় না৷ সে জন্যই মালাই দুধের আগমন৷ দুধের স্নেহ পদার্থ থাকে। তার সঙ্গে মিশে কারকিউমিনের ক্ষমতা বাড়ে। ফলে দুধের সঙ্গে হলুদ খেলে উপকার বেশি৷ তবে সকালে আখের গুড় দিয়েও কাঁচা হলুদের কুচি খাওয়া যায়। আরও এক ভাবে খাওয়া যায় হলুদ। গোলমরিচের সঙ্গে বেটে৷ কারণ, গোলমরিচে আছে পিপারিন। তা কারমিউমিনের কার্যক্ষমতা প্রায় ২০০০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়৷ পাশাপাশি কাঁচা হলুদের সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়েও খেতে পারেন।
রূপচর্চায় হলুদ
অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি প্রপার্টি থাকায় হলুদ রূপচর্চায় অব্যর্থ। হলুদ অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি হওয়ায় ত্বকের ক্ষত সারায়। অন্য দিকে ওপেন পোরসও বন্ধ করে। এর অ্যান্টিসেপটিক কোয়ালিটি ত্বকে ব্রণ বা তার দাগ সারায় তাড়াতাড়ি। ব্রণ কমাতে পাতিলেবুর রস, শসার রসের সঙ্গে হলুদ বাটা মিশিয়ে ব্রণর উপরে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে ব্রণ শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। আবার ব্রণ সারার পরে তার দাগ তুলতে এই প্যাকের সঙ্গে নারকেল তেল বা তিল তেল মিশিয়ে নিন। রূপচর্চায় হলুদের কেরামতি-